আবারো ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিলো দখলদার ইসরায়েল

দখলদার ইসরায়েল এবার অধিকৃত পশ্চিমতীরের প্রাচীন শহর হেবরনে অবস্থিত ইব্রাহিমি মসজিদটি মুসলিমদের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে।

জানা গেছে, গত শুক্রবার থেকে প্রাচীন এ মসজিদটিতে ১০ দিনের জন্য মুসল্লিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খবর ডেইলি সাবাহ ও আনাদোলু এজেন্সির।

মসজিদটির পরিচালক শেখ হেফজি আবু আসিনিনা বলেন, ইহুদিদের উৎসব উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হেবরনের এ মসজিদে ১০ দিনের জন্য নামাজ বন্ধ করেছে।

দখলদার সেনারা হেবরনের পুরনো শহরাঞ্চলে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের চলাচলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, হেবরনে ১ লাখ ৬০ হাজার মুসলিম বসতকারী রয়েছে,

এছাড়া ৫০০ ইহুদিও অবৈধভাবে বসবাস করে। এই অবৈধ বসবাসকারীদের জন্য ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদটি প্রতি বছর ইহুদিদের উৎসবের কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়।

২০১৭ সালে ইব্রাহিমি মসজিদসহ হেবরন শহরকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে। ইহুদিবাদীদের দাবি, ইহুদিরা ওই এলাকায় সুকোত উৎসব পালন করবে বলে ইব্রাহিমি মসজিদটি মুসলিমদের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। উৎসব চলাকালে মুসল্লিরা নামাজে আসলে তাদের উদযাপনে ব্যাঘাত ঘটবে।

প্রাচীন শহর হেবরন মুসলিম ও ইহুদি- উভয় ধর্মাবলম্বীদের জন্যই পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত। এখানেই তিন নবী হযরত ইসহাক (আ.), ইয়াকুব (আ.) ও হযরত ইব্রাহিমের (আ.) কবর রয়েছে বলে বিশ্বাস করেন এই দুই ধর্মের অনুসারীরা।

উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে বর্বর ইহুদিরা মসজিদটিতে ঢুকে ২৯ মুসল্লিকে হত্যা করে। এরপর থেকে মসজিদটিতে মুসলিম ও ইহুদি উপাসকদের জন্য পৃথক স্থান নির্ধারণ করা হয়।