জনস্বার্থকে তাচ্ছিল্য করে দ্রব্যমূল্য দফায় দফায় বাড়াচ্ছে সরকার

mirza fokrul
ফাইল ছবি

আওয়ামী সরকার জনগণকে শক্রপক্ষ মনে করে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার ৫ নভেম্বর বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেনের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান স্বৈরাচারি সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে জনস্বার্থকে তাচ্ছিল্য করে অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ দফায় দফায় বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে আসছে।

দেশে কেরোসিন ও ডিজেলের দাম শতকরা ২৩ ভাগ বৃদ্ধি করে ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা পূণ:নির্ধারণ করা হয়েছে। এর একদিন যেতে না যেতেই গতকাল বৃহস্পতিবার এলপি গ্যাসের দাম ৪.২৯ শতাংশ বৃদ্ধি করে ১২ কেজির মূল ১২৫৯ টাকা থেকে ১৩১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এলপি গ্যাসের মূল্য গত ৪ মাসে ৪৭.৩৬ শতাংশ বাড়ানো হলো। গত জুলাই মাসে এর মূল্য ছিল ৮৯১ টাকা। এই মূল্য বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে ‘চেইন রিঅ্যাকশন’ সৃষ্টি করবে।

ডিজেল, কেরোসিন ও এলপি গ্যাসের মূল্য বাড়ায় জনজীবনে মূল্যস্ফীতির চাপ বৃদ্ধির পাশাপশি সেচ পরিবহন সহ সামগ্রিক ব্যয় অসহনীয়ভাবে বেড়ে যাবে।

জনজীবনে দুর্গতির শেষ থাকবে না। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং মধ্যম ও নিন্ম আয়ের মানুষ ভয়ানক দূর্ভোগের মধ্যে পড়বে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আসলে গণবিরোধী আওয়ামী সরকার জনগণকেই শক্রপক্ষ বলে মনে করে। এই কারণে জনগণের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিহিংসা হিংস্র রূপ ধারণ করে।

যেখানে ভারতে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে অথচ বাংলাদেশে এর দাম দ্বিগুন করা হয়েছে যাতে ক্ষমতাসীনরা জনগণের টাকা লুটপাট করে আগের মতই বিদেশে পাচার করতে পারে।

এখন ভর্তুকি কমাতে জ্বালানীর দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে, এতে জনগণের পকেট কাটা থামবে না বরং আরো অত্যুগ্র মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে। এই দাম বৃদ্ধির দুর্বিষহ প্রভাব অর্থনীতির সব খাতে পড়বে।

ফখরুল বলেন, ভোটারবিহীন সরকারের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না বলেই জনমতকে উপেক্ষা করে ডিজেল, কেরোসিন ও এলপি গ্যাসের মুল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এমনিতেই বর্তমানে চাল, ডাল, আটা, চিনি, ভোজ্য তেল ও রান্নার গ্যাসের দাম দ্বিগুন বৃদ্ধিতে স্বল্প আয়ের মানুষের জীবন এখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। তারা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।

জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি কৃষি ও শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাগামহীনভাবে বাড়বে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী সরকার ঐতিহ্যগতভাবে হিংসা ও কলহ চর্চা করে।

এরা আইনের শাসনকে হত্যা করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে এরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্যারান্টি তথা নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে।

সেই কারণেই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে তারা দ্বিধা করে না। এর ফলশ্রুতিতে তারা বেপরোয়াভাবে কেরোসিন, ডিজেল ও জ্বালানি তেলসহ এলপি গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে নিন্ম আয়ের মানুষকে পিষ্ট করছে।