সিনহার রায়ে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হলো: গয়েশ্বর

Goyessor Ray

সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ১১ বছরের কারাদণ্ডের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এস কে সিনহা যতক্ষণ প্রধান বিচারপতি ছিল, যতক্ষণ সরকারের খায়েস মিটাতে পেরেছে ততক্ষণ ভালো ছিল। এ রায়ে একটা দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হলো যে, প্রধান বিচারপতির ১১ বছরের জেল হয়েছে।

তাহলে আজকে যারা আদালতে আছেন তাদের যে আবার এ রকম জেলে যেতে হবে না তারতো নিশ্চয়তা নেই। সরকারকে সন্তুষ্ট করে যদি চাকরি রাখতে হয়, পরবর্তী সরকারকে সন্তুষ্ট করতেতো আবার জেলেও যেতে হতে পারে।

মঙ্গলবার ৯ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার আয়োজনে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, শেখ হাসিনা বলেছেন বিএনপি শেষ হয়ে যাবে এজন্য তার কষ্ট লাগছে। হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছি না। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলবো যদি সৎ সাহস থাকে তাহলে আপনি পদত্যাদ করে একটা নির্বাচন দেন।

ক্ষমতায় যতদিন আছেন ততদিন থাকবেন। ক্ষমতা হারানোর পর আপনার আওয়ামী লীগ থাকবে না। হয়তো আমরা বেঁচে থাকবো না, আপনারা বেঁচে থাকলে দেখতে পারবেন। কেন থাকবে না, কারণ ১৫ আগস্ট সকাল বেলা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা এখন।

তিনি আরও বলেন, ৭ নভেম্বরের বিপ্লবটা যেটা সিপাহী জনতা করেছিল, আজকে সিপাহী জনতার দরকার নেই। আজকে জনতার স্বার্থে জনতার বিপ্লবটা করতে হবে। জনতার মালিকানা বাংলাদেশের, সে মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

গয়েশ্বর বলেন, জনগণের ভোটে কখনো তারা (আওয়ামী লীগ) নির্বাচিত হয়ে আসতে পারবে না এটা তারা সঠিকভাবে বুঝতে সক্ষম হয়েছে। তারেক রহমানের ওপরে এত ঢিল কেন? যে গাছে ফল হয় না সে গাছে পাগলেও তাকায় না, ঢিলও মারে না।

যে গাছে ফল আছে সেখানে পাখি বসে, ঢিল মারে। অর্থাৎ বাংলাদেশে তারেক রহমানের যে নেতৃত্বের সম্ভাবনা সেটা তারা খুব গুরুত্ব দিয়ে বুঝতে পেরেছে। আর শেখ হাসিনাকে যারা এ দেশটাকে শোষণ করার জন্য বসিয়ে রেখেছে তারাও কিন্তু বুঝতে পারছে।

তারা বুঝতে পারছে বলেই তারেক রহমানকে নেতৃত্বে আসতে না দেয়া মানে গণতান্ত্রিক শক্তিকে নেতৃত্বে আসতে না দেয়া। অর্থাৎ গণতান্ত্রিক শক্তি যেন এ রাষ্ট্রের মালিক না হয়।