জুলুমবাজ খুনী কোন নেতাকে জনপ্রতিনিধি করবেন না: মেয়র লিটন

যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, আমাদের সন্মান এবং মর্যদা পরাধীনতা থেকে ১৯৭০ সালে বাঙালী জাতি একটি স্বাধীন ভুখন্ডের জন্য বঙ্গবন্ধুর আহবানে নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন। পরের বছর ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলো।

বাঙালী জাতি পেল একটি স্বাধীন সার্বোভৌম ভুখন্ড। আর পরধীনতা হলো একটি লজ্জা। যে লজ্জা আজ শার্শার কন্যদাহবাসী দীর্ঘদিন বয়ে বেড়াচ্ছে। স্বাধীনতা হচ্ছে সন্মানের । সেই স্বাধীনতা জাতির জনক নৌকা প্রতীকের মধ্যে দিয়ে বাঙালী জাতিকে উপহার দিয়েছে। আজ সেই প্রতিকের জন্য এসেছি শার্শার কন্যাদাহ গ্রামে।

আগে বেনাপোল থেকে শুনতাম মানুষের আহাজারি, নির্মম একজন মানুষ আয়নাল হক। আজ স্বচক্ষে দেখলাম ভয়ে এসে নারীরা ভাইয়েরা এসে কানে কানে বলে যাচ্ছে অত্যাচারিদের গল্প, চাঁদাবাজদের গল্প, নিষ্ঠুরতার গল্প, হত্যাকারিদের গল্প। আজ আপনারা যাকে ভোট দিয়ে নেতা বানিয়েছেন সে থাকবে আপনাদের কাছে সন্মানের।

কিন্তু আজ সে অত্যাচারী সে মানুষ রুপী একজন দানব। কথাগুলো বললেন উলাশী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রফিকুল ইসলামের প্রচারণা পথসভায় মেয়র আশরাফুল আলম লিটন। বুধবার বেলা ১২ টার সময় নৌকা প্রতীকের প্রচারণা পথসভায় সভাপতিত্ব করেন উলাশী ইউনিয়নের বাদশা মেম্বার।

আজ শার্শায় মানুষরুপী কিছু দানব সৃষ্টি করেছে এই জনপদের একজন শীর্ষ প্রতিনিধি। তিনি নৌকার বিরুদ্ধে এসব দানবদের ইন্ধন যুগিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করিয়েছে। তার মধ্যে হলো উলাশীর সন্ত্রাসী, গরীবের জমিদখলকারী অত্যাচারী হায়েনা আয়নাল হক।

তাকে মানুষ এই জনপদের একজন সন্ত্রাসের গডফাদার হিসাবে চেনে। আমি আয়নাল হককে বলতে চাই আপনি সাবধান হয়ে যান অনেক অত্যাচার. লুন্ঠন, হত্যা করেছেন । ২০ টি বছর আপনি শার্শার কন্যাদাহ গ্রামের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছেন। আপনি ভালো না হলে আপনাকে এই গ্রামের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে গ্রাম থেকে তাড়াবে সেদিন আর বেশী দুরে নয়।

মেয়র লিটন বলেন যাকে ভোট দিয়ে নেতা বানিয়েছেন সেই নেতার কাছে তার কর্মী থাকবে সন্তানের মত। আর আপনাদের নেতা আয়নাল হক একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। কারন শার্শায় এসেছে এক মানবরুপী দানব। একজন বিত্তবান পরিবারের অভাবী ক্ষুধার্ত মানুষ। বিত্তবান পরিবারের একজন উশৃঙ্খল মানুষ। বিত্তবান পরিবারের এক উদ্ভট চিন্তার মানুষ।

বিত্তবান পরিবারের একজন ভয়াঙ্কর দানবরুপী মানুষ। এই মানুষটিকে যারা শার্শা এনেছিল আজ তারা তার কাছে অবহেলিত। আমরা যদি এই মানুষগুলোর কথা ভাবি সে মানুষ গুলোর কথা যদি আমরা ভাবি অতিত যদি দেখি প্রতিটি মানুষ ছিল নির্ভেজাল ছিল জনপ্রতিনিধি। আর সেই মানুষগুলোর আচার ব্যবহারে মননে চিন্তা চেতনায় কর্মে কোন দিন এই মানুষগুলো মানুষের দীর্ঘশ্বাস এর কারন হননি।

সেই মানুষগুলোকে বাদদিয়ে শার্শার প্রতিটি এলাকায় তৈরী হয়েছে এক একজন দানব। আপনারা ভেবে দেখেন এই দানব গুলো কি ভাবে শার্শায় ওই জনপ্রতিনিধির ইন্ধনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা হাওড় বাওড় জমি দখল হাট দখল সহ সবকিছু করে যাচ্ছে। এটা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হতে পারে না। আমাদের প্রানের জন্মভুমি আমাদের মায়ার শার্শায় আজ ওই নেতা দানবে দানবে ভরে তুলেছে।

সেই জনপদকে উশৃঙ্খল জনপদে তৈরী করেছেন এই শীর্ষ জনপ্রতিনিধি। বেনাপোল পৌর মেয়র লিটন বলেন, পবিত্র কোরআনে আছে, সমাজের নেতা সেই হবে যে সমাজে অপেক্ষাকৃত ভালো মানুষ হবে। যার দ্বারা খুন সংঘটিত হবে তাকে তুমি ভোট দিও না।

যার দ্বারা ব্যাভিচার হবে তুমি তাকে ভোট দিও না। তুমি তাকে ভোট দিও না যার দ্বারা তোমার সম্পদ লুন্ঠন হবে। কারন তাকে তুমি ভোট দিলে সম অপরাধি হবে। আপনারা জানেন বোকারা অত্যাচারী হয় বুদ্ধিমানরা বিনয়ী হয়। সভ্যতার অভাব এদের।

কারন তোমার ব্যবহারে বলে দিবে তুমি কোন পিতার সন্তান। আজ আমার বড় কস্ট হয় শার্শার কন্যাদাহ গ্রামের এই আয়নাল হক এর পরিবার বড় দুর্ভাগ্য পরিবার। এখানকার অধিকাংশ পরিবার একটি পরিবারকে ঘৃনা করে।

একটি পরিবারকে অভিশাপ দেয়। এ কেমন জীবন? সে কেন বোঝে না। আমরা দেখছি সে একজন বেঈমান প্রকৃতির লোক। সে অকৃতজ্ঞ লোক। তার চেয়ারম্যান হওয়ার মত যোগ্যতা নেই। যারা অত্যাচারী হয় খুনী হয় তারা মানবের নেত্রত্ব দিতে পারে না।

আয়নালকে হুশিয়ার করে দিয়ে মেয়র লিটন বলেন, আপনি যদি না শুধরান তবে আপনাকে ২৮ তারিখে নির্বাচনের পর বুঝিয়ে দিবে। আজ আপনার সন্ত্রাসী কার্মকান্ডের জন্য কোন ছেলে বাড়ি থেকে বের হলে মা চিন্তা করে কখন বাড়ি ফিরবে। তাহলে আপনি কত ভয়ঙ্কর মানুষ। আপনি দোকানপাঠ বন্ধ টিউবয়েলের মাথা খুলে দিয়েছেন নৌকা প্রতিকের আজ জনসভা হবে বলে।

আপনি কিসের জনপ্রতিনিধি ? আমি আয়নালকে বলতে চাই আমাকে যদি না চেনেন এখনো মায়ের গর্ভে অথবা বড় হওনি। তুমি অত্যাচারী আর যাই হোক তোমার জনপ্রতিনিধি মানায় না। শার্শা উপজেলার আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সাবেক উলাশী ইউনিয়ানের চেয়ারম্যন শাহিদুল আলম বলেন আয়নাল একজন খুনি, অত্যাচারী মানুষ। সে জামাত করত।

আমাকে পায়ধরে সে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে যোগদান করে ১৯৯৬ সালে। তারপর সে একের পর এক খুন খারাপি অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে এলাকায়। সে গরীবের ৪ হাজার একর জমি দখল করে মাছে চাষ করছে তাদের লিজের টাকা দেয় না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী কৃষক লীগের উলাশি ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ গগন, বেনাপোল পৌর প্যানেল মেয়র সাহাবুদ্দিন মন্টু, কাউন্সিলার রাশেদ আলী, বেনাপোল পৌর যুবলীগের আহবায়ক সুকুমার দেবনাথ বেনাপোল পৌর ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আশাদুজ্জামান আশা উলাশী ইউনিয়ন এর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম সহ আওয়ামী অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা।