মহেশপুর সীমান্তে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশের সময় আটক ২০

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সোনাইডাঙ্গা ও কাঞ্চনপুর গ্রামে ৫৮ বিজিবির অভিযানে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশের সময় নারী,পুরুষ ও শিশুসহ ২০ জনকে আটক করেছে।

বিনা পাসপোর্টে এরা অবৈধ ভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। বৃহস্পতিবার মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক তসলিম মোঃ তারেক এক ই-মেইল বার্তায় এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় মহেশপুর ব্যাটালিয়নের যাদবপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা সোনাইডাঙ্গা থেকে ১১ জন ও বাঘাডাঙ্গা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা কাঞ্চনপুর গ্রাম থেকে ৯ জনকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, যশোর জেলার অভয়নগর থানার ইছামতি গ্রামের মোঃ মঞ্জুর শেখের ছেলে আল আমীন শেখ (২৪), মোঃ রাব্বি শেখ (২২), মোঃ রাব্বি শেখের স্ত্রী সানজিদা খাতুন (২০), ছেলে আব্দুর রব (০৮ মাস), আল আমীন শেখের স্ত্রী লিমা খাতুন (১৯),

মৃত লাল মিয়া শেখের ছেলে মোঃ সুমন শেখ (২০), মোঃ সুজন শেখ (১৬), মাগুরা জেলার শালিখা থানার থৈপাড়া গ্রামের মাখন বিশ্বাসের ছেলে সুজয় বিশ্বাস (২৪), খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার সেনহাটী গ্রামের শাহ আলম মোড়লের স্ত্রী জবেদা খাতুন (৩৭),

মোঃ সেলিম রাজার স্ত্রী আয়েশা খাতুন (১৫) এবং মেয়ে রওজা আকতার রিমি (১৪ মাস)। কাঞ্চনপুর গ্রাম থেকে আটককৃতরা হলেন, চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার উত্তর কাটথলী গ্রামের মৃত অমর কৃষ্ণ সেনের ছেলে উত্তম কুমার সেন (৫৪), বিপ্লব কুমার সেন (৪৯),

ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর থানার সলেমানপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল আলীম মন্ডলের ছেলে মোঃ করিম আলী (২১), মেয়ে মোসাঃ নাজমা খাতুন (২৬), মোঃ বাবুলের স্ত্রী মোসাঃ সীমা আক্তার (২৫)

মেয়ে তানুজা (০৬), গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানার ঘোসেরচর গ্রামের মৃত কুমুত রঞ্জন দত্ত’র মেয়ে রেবা দত্ত (৪০), যশোর জেলার কোতয়ালী থানার বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত চাঁদ আলী গাজী’র মেয়ে মনিরা বেগম (৪০), টাঙ্গাইল জেলার কালীহাতি থানার সালেংকা গ্রামের গোলজার হোসেনের মেয়ে মোসাঃ সাবজান আক্তার (৩৪)।

অভিযানকালে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারে নিয়োজিত মহেশপুরের বাঘাডাঙ্গা গ্রামের জলিল খলিফার ছেলে মোঃ এমরান (৩০) ও লুৎফর রহমানের ছেলে হৃদয়কে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মহেশপুর থানায় মামলা হয়েছে।

উল্লেখ্য মহেশপুরের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে প্রতিদিন মানুষ বাংলাদেশ থেকে ভারতে ও ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, চিহ্নিত দালাল ও আইনশৃংখলা রক্ষা কাজে নিয়োজিত কতিপয় ব্যক্তিরাও এই ধুড় পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে সীমান্তের মানুষ অভিযোগ করেছে।