আদালতের বারান্দায় বাদীর সাথে অশোভন আচরণ কারায় রূবাইয়া আক্তার রুনা নামে এক নারীকে হাজতে আটক রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। রুনা ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগর গ্রামের ইদ্রিস আলীর মৃধার মেয়ে।
চারঘন্টা হাজতে রেখে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। রোববার ১২ ডিসেম্বর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম এ নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ কবির হোসেন জনী। জানা গেছে, যশোর সদরের বড় মেঘলা গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের মেয়ে শান্তা খাতুন তার স্বামী ঝিকরগাছার কাটাখাল গ্রামের জাহিদুল ইসলামের নামে আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করে।
সমন পেয়ে রোববার ধার্য দিনে জাহিদুল আদালতে হারিজরা দিতে আসেন। তার সাথে আসেন মামাতো বোন রুনাসহ দুইজন। এদিন তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক মিমাংসার শর্তে আসামি জাহিদুলের জামিন মঞ্জুর করেন। বাদী শান্তা খাতুন ও আসামি জাহিদুল এজলাস থেকে বারান্দায় বেরিয়ে আসেন।
এরমধ্যে রুনা মামলার বাদী শান্তার উপর চরম ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি ও মারতে যান। বিষষটি বাদীর আইনজীবীর নজরে আসায় বিচারকের কাছে অভিযোগ দেন তিনি। বিচারক রুনাকে ধরে আনতে বলেন পুলিশকে।
পুলিশ রুনাকে ধরে নিয়ে গেলে বিচারক আদালতে অশোভন আচরণ করায় হাজতে আটকে রাখার নির্দেশ দেন। ৪ ঘন্টা হাজতবাসের পর রুনাকে মুক্তির নির্দেশ দিলে হাজত খানা থেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।