ডা. সাবরিনাকে জামিন কেন নয়: হাইকোর্ট

করোনা ভাইরাসের ভুয়া নমুনা পরীক্ষার ঘটনার মামলায় গ্রেফতার জেকেজির চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে কেন জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার ১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে সাবরিনার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেজাউল করিম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন।

এর আগে, করোনার ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার জেকেজি হেলথ কেয়ারের ডা. সাবরিনা শারমিন জামিন আবেদন করেন।

সাবরিনা-আরিফুল দম্পতি ছাড়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।

গত ৫ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছিলেন। ২০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।

অভিযোগপত্রে আরিফ ও সাবরিনাকে মূল হোতা উল্লেখ করে অন্যদের বিরুদ্ধেই জালিয়াতি ও প্রতারণায় সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, তদন্তে জেকেজি হেলথ কেয়ারের কম্পিউটারে এক হাজার ৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট ও ৩৪টি ভুয়া সার্টিফিকেট পাওয়া গেছে।

১২ জুলাই দুপুর ১টার দিকে ডা. সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেফতার করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহ করার চুক্তি করেছিল জোবেদা খাতুন সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা।

বাসা থেকে ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার ৬০০ টাকার বিনিময়ে তারা নমুনা সংগ্রহ করছিলেন এবং ভুয়া প্রতিবেদন দিচ্ছিলেন। করোনা পরীক্ষার টেস্ট না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়া জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণা নিয়ে দেশে তোলপাড় চলছে।

এই প্রতারণার মূলহোতা জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরী ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন। এ প্রতারণায় আরিফের অন্যতম সহযোগী হলেন তার স্ত্রী ডা. সাবরিনা।