র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা হবে

abdul momen
ফাইল ছবি

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড.এ.কে আবদুল মোমেন বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‍্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র যা খুবই দু:খজনক।

যুক্তরাষ্ট্রের সব সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। এ ইস্যুতে তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। দেশটিতে পরিপক্ব, জ্ঞানী লোকজন আছেন, তারা তাদের অবস্থা পরিবর্তন করবেন, সেই প্রচেষ্ঠাই চালাব। তাদের সাথে আমরা আলোচনা অব্যাহত থাকবে। এ ইস্যুতে ঢাকা- ওয়াশিংটনের মধ্যে সস্পর্কের কোনো প্রভাব পড়বে না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন আলোচনা করে এ বিষয়ে উত্তর দিতে।

আমার পক্ষে একা হুট করে উত্তর দেয়া ঠিক হবে না। ড. মোমেন উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ৬ লাখ লোক মিসিং হয়। যুক্তরাষ্ট্র বলছে গত দশ বছরে বাংলাদেশে ৬ হাজার লোক মিসিং হয়েছে।

অন্যদিকে প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে হাজার লোক মেরে ফেলে। আর বাংলাদেশে কালেভদ্রে একজন দুজন মারা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রে যে এত লোক মারা যায় সেখানে মিডিয়া এ নিয়ে বেশি হইচই করেনা। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া মনে করে তারা লাইন অফ ডিউটিতে এ কাজ করেছে।

এ মৃত্যুর জন্য আমি কারো পানিশমেন্ট হয়েছে বলে শুনেনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‍্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল পলেসির বিপরীত সিদ্ধান্ত।

যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল পলেসি হল সন্ত্রাস দমন। সন্ত্রাস দমনে র‍্যাব অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল ইস্যু ড্রাগ পাচার বন্ধে র‍্যাব সাহায্য করছে। র‍্যাব দুর্নীতি পরায়ন নয়।

টাকা পয়সা দিয়ে র‍্যাবের অবস্থা পরিবর্তন করা যায়না। ফলে তারা বাংলাদেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোনো শক্তিশালী দেশ নয়। কোনোও কোনোও লোক বা সংস্থার প্ররোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের এত বড় সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সঙ্গে কথাবার্তা না বলে নেয়া ঠিক হয়নি।