নিজেরা মারামারি করে সমাবেশ পণ্ড করছে বিএনপি

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চোরাগলির পথ খুঁজছে।

রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘সরকার ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার পাঁয়তারা করছে’ এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপি জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে না। এজন্য সবসময় তাদের ভোট থেকে পলায়নপর মনোবৃত্তি। বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি,

২০১৮ সালে নির্বাচন থেকে পালাতে চেয়েছিল। পরবর্তীতে অনেক নাটকীয়তার পরে আবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। অপরদিকে আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের রায়ের ওপর বিশ্বাস করে।

আওয়ামী লীগ তার ইতিহাসে জনগণের রায় ব্যতিরেকে অন্য কোনোভাবে ক্ষমতায় যায়নি। আর বিএনপির ইতিহাস হচ্ছে চোরাপথে ক্ষমতায় যাওয়া।

বিএনপি’র ঊর্ধ্বতন নেতাদের জনগণের ওপর কোনো আস্থা নেই বিধায় সংলাপ নিয়ে এ ধরণের বক্তব্য দিচ্ছেন, নির্বাচন নিয়েও অবান্তর কথা বলছেন উল্লেখ করে বলেন, তারা যে জনগণ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে

এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে পারবে না, সেটি তারা জানেন। তাই এখন বিএনপি চোরাগলির পথ খুঁজছে, কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়। চোরাগলির পথ দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার দিন বাংলাদেশে শেষ হয়ে গেছে।

এ সময় কয়েকটি ছোট রাজনৈতিক দল সংসদ নির্বাচনকালে দেশ পরিচালনার জন্য জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে, এ প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রাজনীতিতে পরিত্যক্তদের পুণর্বাসনের জন্য বিশেষ ধরণের সরকার গঠনের কোনো প্রয়োজন বা সুযোগ কোনোটাই নেই।

বিএনপির সাথে জোটবদ্ধ কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের যারা জাতীয় সরকারের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তারা সবাই পরিত্যক্ত রাজনীতিবিদ। তারা একসময় অনেক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ছিলেন, রাজনীতিতে তারা পরিত্যক্ত।

রাজনীতিতে পরিত্যক্তরা তাদের পুণর্বাসনের লক্ষ্যে এ ধরণের প্রস্তাব দিচ্ছেন। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবে। এর বাইরে কোনো সুযোগ নেই।

সোমবার পাবনাতে বিএনপির সমাবেশে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ ও একজন যুবদল নেতার ছুরিকাহত হওয়ার ঘটনা এবং সেই সমাবেশেই বিএনপিনেতাদের মন্তব্য সরকার বিএনপিকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে

এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য অন্য কারো প্রয়োজন নেই, তারা নিজেরাই নিজেদেরকে দুর্বল করে দিচ্ছে, তাদের এই মরামারিগুলোই হচ্ছে তার বহিঃপ্রকাশ।

বিএনপি যেখানেই সমাবেশ করছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সেখানেই নিজেরা মারামারি করে নিজেদের সমাবেশ পণ্ড করে দিচ্ছে। এ ধরণের ঘটনা শুধু পাবনাতে নয়, সারা দেশেই ঘটছে।

তবে ফেনীতে তারা কি কারণে সমাবেশ স্থগিত করেছে জানি না, যদি জয়নাল হাজারীর মৃত্যুতে সমাবেশ স্থগিত করে থাকে সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।