করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের তাণ্ডবে টালমাটাল বিশ্ব। আগামী ছয় মাসের মধ্যে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন ঝাং ওয়েনহং নামে চীনের এক বিশেষজ্ঞ।
তবে ওমিক্রন মোকাবিলায় বুস্টার ডোজ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলেও জানান তিনি। গেল নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয় করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন।
এরপর খুব দ্রুতই ধরনটি সুনামির মতো ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে যেখানে প্রতিদিন রেকর্ড পাঁচ-সাত লাখ মানুষ আক্রান্ত হতো,
সেখানে ওমিক্রনের তাণ্ডবে গেল ৩০ দিনের হিসেব পুরো উল্টো। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ লাখ মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় ওমিক্রন নিয়ে আপাতত কোনো স্বস্তির খবর নেই।
উল্টো আগামীতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে বলে মনে করছেন চীনা বিশেষজ্ঞ ঝাং ওয়েনহং। এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, করোনার নতুন ধরনটি এক দেশ থেকে আর এক দেশে ছড়িয়ে পড়ায় একে প্রতিরোধ করা অনেক কঠিন।
চীনা বিশেষজ্ঞ ঝাং ওয়েনহং বলেন, করোনার প্রত্যেকটি ঢেউ নির্দিষ্ট একটি ধারাতে মানবদেহে সংক্রমিত হয়েছে। কিন্তু অপরিচিত কোনো ধরন যদি আসে তাহলে ভবিষ্যতে আরও ঝুঁকি দেখা দেবে। এখনই সঠিক পদক্ষেপ না নিলে, বড় চালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বিশ্বকে।
আশঙ্কার কথা বললেও, করোনার নতুন ধরন মোকাবিলায় বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ। বলছেন, বুস্টার ডোজই পারে মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে নতুন ধরন প্রতিরোধ করতে।
একইসঙ্গে বুস্টার ডোজ মৃত্যুহারও অনেকাংশে কমিয়ে আনবে বলে মত এই বিশেষজ্ঞের। তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় অনেক দেশ টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু করেছে।
অনেকে আবার বুস্টার ডোজ দিচ্ছে। এটা সবার জন্যই ভালো। কারণ বিভিন্ন গবেষণা বলছে, বুস্টার ডোজ নেয়া মানুষের ক্ষেত্রে করোনার উপসর্গ খুব একটা লক্ষ্য করা যায় না।
এটা শরীরে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম। মহামারি মোকাবিলায় সব দেশেই টিকাদান কর্মসূচি বাড়ানোর আহ্বানও জানান এই বিশেষজ্ঞ।