যশোরে চাঁদার দাবীতে মারপিট, আটক ৪

যশোরে চাঁদা দাবিতে ব্যবসায়ীকে মারপিট ও টাকা নেয়ার ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী তুহিন সরদার বাদী হয়ে আটক চারজনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জনকে আসামি দিয়ে কেতাতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন।

আটককৃতরা হলো, ঝিকরগাছা উপজেলার পুরন্দপুর গ্রামের বিহারীপাড়ার মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে মনিরুল ইসলাম মনি, এনায়েত হোসেনের ছেলে মামুন আহম্মেদ সুমন, রবিউল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম, কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত সানার উদ্দিনের ছেলে আজিজুর রহমান এই মামলার পলাতক আসামিরা হলো,

পুরন্দপুর গ্রামের বিহারীপাড়ার মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে জাহিদ হাসান রনি ও বামনালি গ্রামের চাপাতলার আব্দুল হকের ছেলে রাসেল পাটোয়ারি।

বাদী তুহিন সরদার মামলায় বলেছেন, তিনি পেশায় একজন কাপড় ব্যবসায়ী। তিনি ঝিকরগাছা উপজেলার নবীবনগর গ্রামের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে সদর উপজেলার চাঁচড়া মধ্যপাড়ায় বসবাস করেন।

কিন্তু ঝিকরগাঝার পুরন্দপুর বিহারীপাড়ায় তার তিন শতক জমি ছিল। ওই জমি আসামি রাসেল পাটোয়ারির কাছে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। রেজিস্ট্রি করে দেয়ার পরে বাদীর বড় ভাই হাবিব সরদারের ওই জমির পাশে আরো জমি আছে।

কিন্তু আসামি রাসেল পাটোয়ারি বাদীর ভাই হাবিব সরদারের ক্রয় করার জন্য বিভিন্ন সময়ে দেনদরবার এমন কি হুমকি দিতে থাকে। সর্বশেষ গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে সকল আসামি বাদী চাঁচড়ার বাসায় আসে। এসময় তারা বাদীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় বাদীকে মারপিট করে বাসায় থাকা ৫০ হাজার টাকা ও সাদা চারটি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে জোর পূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে চলে যায়। পাশাপাশি বাকি সাড়ে ৪ লাখ টাকা টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দিয়ে যায়।

৭ ফেব্রুয়ারি সকালে মোবাইল করে বলে আমি লোক পাঠিয়েছি তাদের কাছে টাকা দিতে হবে। না দেয়ায় তাকে খুন করার হুমকি দেয়। ৮ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে অবহিত করানো হয়। ওইদিনই বাকি টাকা নেয়ার জন্য যশোর শহরের মুসলিম একাডেমির সামনে আসতে বলা হয়।

এসময় মনিরুল ইসলাম মনি, মামুন আহম্মেদ সুমন, শরিফুল ইসলাম, আজিজুর রহমান পা-ু সেখানে আসে। কিন্তু আগে থেকেই সেখানে সাদা পোষাকে ডিবি পুলিশ অবস্থান করছিল। দুপুর ১২টার দিকে তারা সেখানে (ঢাকা-মেট্রা-খ-১২-৯০৫৫) একটি প্রাইভেটকার নিয়ে আসে।

আসার পরে আসামি মনিরুল ইসলামের কাছে চাঁদা স্বরূপ ৩০ হাজার টাকা দেন তুহিন সরদার। কিন্তু আরো ৪ লাখ ২০ হাজার টাকার জন্য আসামি শরিফুল তাকে মারপিট করে।

এসময় পাশে থাকা সাদা পোষাকের ডিবি পুলিশ তাদের আটক করে। আর তাদের সাথে থাকা অন্য আসামিরা পালিয়ে চলে যায়। এই ঘটনায় মামলা করা হলে গতকাল বুধবার আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।