যশোরে পৃথক ৯ মামলায় নয় আসামির প্রবেশনে মুক্তি

court jessore
ফাইল ছবি

যশোরে পৃথক নয় মামলায় ১০ আসামির সাজা প্রদান করে বিভিন্ন শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছে আদালত।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস মাদক মামলার আসামিদের সাজা প্রদান করে বিভিন্ন শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট লতিফা ইয়াসমিন কমল ও ভীম সেন দাস।

আদালত সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার মাদক মামলায় বেনাপোল পুটখালী মৃত শুকুর আলীর ছেলে আরিফুল ইসলামকে দুই বছরের সাজাপ্রদান করে প্রবেশনে মুক্তি দেন।

এছাড়া একই আদালত বুধবার পৃথক আট মামলায় আরও নয় আসামিকে সাজা প্রদান করে প্রবেশনে মুক্তি দেন। নয়জনের মধ্যে সাতজনতে দুই বছরের ও বাকি দুইজনকে এক বছরের মেয়াদে প্রবেশনে মুক্তি দেন।

পৃথক শর্তে দুই বছরের জন্য প্রবেশনে মুক্তি পেয়েছেন , সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার বেতাঙ্গী জাবাখালী গ্রামের শহিদুল্লাহ গাজীর ছেলে মোহাম্মদ বাদশা, বেনাপোল পোর্ট থানার বারোপোতা গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে মিয়ারাজ আলী, বেনাপোল পোর্ট থানার সাদীপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ টুকু,

শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার আজগর আলী গেদার ছেলে রনি, রায়পাড়া মাদ্রাসা রোড এলাকার নুর হোসেনের ছেলে সাবু, বোনপোল বড় আচড়া গ্রামের আরিজুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন রাবি,

ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের মৃত নিশিকান্ত দাসের ছেলে গৌতম কুমার দাস। একইদিন এক বছরের সাজা প্রদান করার পর প্রবেশনে মুক্তি পেয়েছেন যশোরের বেনাপোল ভবেরবেড় গ্রামের আব্দুল হকের মেয়ে ফাতিমা খাতুন ও একই গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিনের মেয়ে সোহাগী আক্তার।

এসব আসামিদের প্রবেশন কর্মকর্তার অধীনে থেকে বাড়িতে থেকে বিভিন্ন ধরণের শর্তমানতে হবে। ওইসব শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে করোনাকালীন সময়ে তাকে জনসচেতনাতা সৃষ্টি ও মানুষকে মাস্ক ব্যবহারে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে। নিজ বসতবাড়ির আঙিনায় তিনটি তালগাছ ও দুইটি নারিকেল গাছ লাগাতে হবে।

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। পরিবারের উপর দায়িত্বশীল হয়ে পারিবারিক বন্ধন বজায় রাখতে হবে। নিজ এলাকার প্রতিবন্ধীদের পরিচর্যা ও আহার করাতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পূর্নদের্ঘ চলচিত্র দেখতে হবে। হতদরিদ্রকে দুপুরের আহার করাতে হবে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিস ও সেবা গ্রহণ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।