যশোরে কলেজ ছাত্র রাকিবুল হত্যার অভিযোগে মামলা

mamla rai

যশোর আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের ছাত্র রাকিবুল ইসলামকে হত্যার অভিযোগে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে আদালতে একটি মামলা হয়েছে।

অভিযোগের ভিতর শহরের খড়কি কারবালা পুকুরপাড়ের মিলন তাহনান ছাত্রাবাসের পরিচালকসহ ছাত্ররা রাকিবুলকে হত্যা করতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বুধাবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নড়াইল লোহাগাড়ার চর কালনা গ্রামের প্রবাসী আনিসুর রহমান মনা মিয়ার স্ত্রী ও নিহতের মা রুপালী বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট দেবাশীষ দাস। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, রাকিবুল ইসলাম যশোর আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের মার্কেটিং বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র ছিল।

সে যশোর শহরের খড়কি কারবালা পুকুরপাড়ের মাইনুর রহমান মিলনের মিলন তাহনান ছাত্রাবাসের ৪র্থ তলায় অন্যান্য ছাত্রদের সাথে থাকত।

গত ৫ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে ছাত্রবাস থেকে রাজু ফোন করে গ্রামের এক চাচা আব্দুল জলিল মোল্যার মোবাইল ফোনে কল করে জানায় রাকিবুল গুরুতর অসুস্থ্য ও তাকে হাপাতালে নেয়া হচ্ছে।

এ সংবাদ পেয়ে রাকিবুলের মা কয়েকজনকে সাথে নিয়ে দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পৌছান। অসুস্থ্য রাকিবুলকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে খুজে না পেয়ে মর্গে যেয়ে ছেলের লাশ সনাক্ত করেন স্বজনেরা।

এ সময় হাসপাতালে ছাত্রাবাসের কোন ছাত্র ও মালিক কাউকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে রাকিবুরের মৃত্যুর সনদপত্র সংগ্রহ করে লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায়।

রাতে মরদেহের গোসল করার সময় মাথার পিছনে ধারালো অস্ত্রের কোপ ও আঘাতের চিহ্ন দেখে ৯৯৯ এ কল করে পুলিকে সংবাদ দেয়া হয়।

পরদিন লোহাগাড়া থানার পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠায়।

ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর নিহতের মা রূপালী বেগম জানতে পারেন, মৃত্যুর পূর্বেই জখম ও আঘাতের ফলে মৃত্যু বরণ করিলেও দুর্নীতি ও ইচ্ছাকৃত ভাবে ঘটনাকে ভিন্নাখাতে প্রভাবিত করতে নড়াইলের সিভিল সার্জন ও সদর হাসাপালের চিকিৎসকরা মৃত্যুর সাঠিক কারন উল্লেখ করেনি।

৩০ জানুয়ারি নিহতের মা ব্যাপারে লোহাগাড়া এ থানায় মামলা করতে গেলে যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা করার পরামর্শ দেয়। ৩১ জানুয়ারি তিনি কোতয়ালি থানায় অভিযোগে দিলে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়। অবশেষে নিহত রাকিবুলের মা রুপালী বেগম গতকাল বুধবার আদালতে এ মামলা করেছেন।

এ হত্যাকান্ডের সাথে ছাত্রাবাসের পরিচালক, রাধুনী ও ৪র্থ তলায় বসবাসকারী ছাত্র সাজ্জাদ, নুরুল আহাদ, নুর আলম, রিয়াদ, কামরুল আলম ও রাজুসহ অপরিচিত আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।