হিজড়া আলমগীর হত্যা মামলায় আটক সোহানের আদালতে স্বীকারোক্তি

যশোর নওয়াপাড়ার হিজড়া আলমগীর হাওলাদার হত্যা মামলায় আটক সোহান ইসলাম হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ হত্যাকান্ডের সাথে তারা তিনজন জড়িত বলে জানিয়েছে সোহান।

রোববার অতিরিক্ত চিপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মারুফ আহমেদ আসামির এ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। সোহান ইসলাম নওয়াপাড়া পাঁচকবর এলাকার মহিবুর ইসলামের ছেলে।

এরআগে এ হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে সাগর মোল্যা। সোহান ইসলাম জানিয়েছে, আলমগীর হাওলাদার পেশায় একজন রঙ মিস্ত্রী ও হিজড়া। ২০২১ সালের ২ মার্চ রাতে তারা দিনজন ফোন দিয়ে আলমগীকে ইয়াবা নিয়ে কবিরাজের বাগানে আসতে বলে।

আলমগীর ইয়াবা নিয়ে আসলে তারা এক সাথে সেবন করে। এরপর তারা দুই জন আলমগীরের সাথে শারিরীক সম্পর্ক করেছিল। বিসয়টি আলমগীর জানিয়ে দিবে বলে তাদের হুমকি দেয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা আলমগীরকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখেছিল বলে জানিয়েছে সোহান ইসলাম।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২ মার্চ সন্ধ্যায় আলমগীর রঙ কেনার উদ্যেশে বাড়ি থেকে বাজারে যায়। রাতে আলমগীর বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুজি করে উদ্ধারে ব্যর্থ হয় স্বজনেরা।

পরদিন সকালে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে কবিরাজের বাগানের একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় আলমগীরের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে নিহতের মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে অভয়নগর থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিহত আলমগীরের মোবাইল ফোনের কললিস্ট দেখে সন্দেহজনক ভাবে ওই সময় সাগর মোল্লাকে আটক করেন। আটক সাগর মোল্যা হত্যা সাথে জড়িতদের নাম উল্লেখ করে আদালতে জবানবন্দি দিয়ে।

সাগরের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোহান ইসলামকে আটক করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গৌতম কুমার মন্ডল। গতকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ওই জবানবন্দি দিয়েছেন।