জাতিসংঘে সরকারের নীরবতা গণতন্ত্র পরিপন্থী: বিএনপি

bnp logo

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের নিন্দা করেছে বিএনপি। একইসঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের প্রস্তাবের পক্ষে ভোটদানে বিরত থাকায় সরকারের সমালোচনা করেছে দলটি।

শুক্রবার (৪ মার্চ) বিকালে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের এ অবস্থান তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির মহাসচিব উল্লেখ করেন, দেশের জনগণ ইউক্রেনসহ যেকোনও দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের মৌলিক অধিকারকে শ্রদ্ধা করে এবং এর সীমা লঙ্ঘনকে বিরোধিতা করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি মনে করে, দেশবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত জনমত গোটা বিশ্বের গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার বিষয়ক মূল স্রোতের সঙ্গে মিশে আছে।

কিন্তু দেশের ক্ষমতাসীন সরকার তার ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে দেশবাসীর জনমতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবের পক্ষে ভোটদানে বিরত থেকেছে।

যা বাংলাদেশের সংবিধান ঘোষিত গণতন্ত্র ও মানবিক মূল্যবোধ নীতিমালা পরিপন্থী। রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেনের আগ্রাসনে বিএনপি’র উদ্বেগ’ শীর্ষক লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, এই আক্রমণকে ইউক্রেনের ওপর চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধ এবং তার স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মনে করে বিএনপি।

এ ধরনের আধিপত্যবাদী ও সম্প্রসারণবাদী তৎপরতা জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী অপরাধ। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গত ৭ দিন যাবত ইউক্রেনবাসীর ওপর রাশিয়ার অমানবিক আক্রমণ ও তার ফলে সৃষ্ট ১০ লাখ মানুষের উদ্বাস্তু হওয়ার সমস্যা বিষয়ে ও শত শত নিরীহ ইউক্রেনবাসীর সঙ্গে একজন বাংলাদেশি নাবিকের নিহত হওয়ায় গভীর শোক ও উদ্বেগ ব্যক্ত করছে বিএনপি।

এতে বলা হয়, ইতোমধ্যেই মাত্র পাঁচটি দেশ বাদে জাতিসংঘের বিশেষ অধিবেশনে এই আক্রমণের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। মাত্র পাঁচটি দেশের বিরোধিতা ও ৩৫টি দেশের পক্ষ গ্রহণে বিরত অবস্থান বাদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশ তথা বিশ্ববাসী এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবস্থান নিয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে কার্যকরী অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের কর্মকাণ্ডে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, বাংলাদেশ সরকার নতজানু পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হুমকিতে ফেলছে।