ঝিনাইদহের অপহৃত কলেজছাত্রী উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

ঝিনাইদহের কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় মূলহোতা গাফফারসহ ৩ জনকে মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সেসময় অপহরণের শিকার ওই ছাত্রীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

র‌্যাব আরো জানায়, সোমবার ভোরে মানিকগঞ্জ সদর এলাকা থেকে এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আবু জার গিফারী গাফফার (৩৫), সাব্বির হোসেন (২২) ও হাফিজুর রহমান(৪৬)কে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৪ ও র‌্যাব-৬।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩ টি দেশীয় অস্ত্র, এসিড জাতীয় পদার্থ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ বিকালে প্রাইভেট পড়া শেষে রিকশা যোগে বাসায় ফেরার পথে অপহরণের শিকার হন ঝিনাইদহেরে একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।

গ্রেফতারকৃতরা শৈলকূপার একটি রাস্তা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে মাইক্রোবাসে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার গাফফার জানায়, ভিকটিম অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী।

সাম্প্রতিক সময়ে ভিকটিম এসএসসিতে খুব ভালো রেজাল্ট করায় গাফফার ধারণা করে সে তার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। মূলত এ কারণেই সে ভিকটিমকে অপহরণের পরিকল্পনা করে।

ঘটনার দুই দিন আগে কোর্ট সংলগ্ন এলাকায় গাফফার তার সহযোগিদের নিয়ে অপহরণের চূড়ান্ত পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক ভিকটিমকে প্রাইভেট পড়ে বাসায় যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে অপহরণ করে।

আরও জানা যায়, পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য প্রথমে রাজবাড়ীতে এক আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে যায় ছাত্রীকে। পরে সেখান থেকে সহযোগীদের সাহায্যে তাকে ঢাকায় নিয়ে যায়।

সেখানে আশ্রয় না পেয়ে মাইক্রোবাসে ভিকটিমকে সিলেটে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পুনরায় তাকে নিয়ে ফরিদপুরে রওনা করে। পথিমধ্যে গাফফার ভিকটিমকে এসিড এবং দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে, যাতে ভিকটিম কোনও প্রকার চিৎকার বা আওয়াজ না করে।

অতঃপর মানিকগঞ্জ হতে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহের বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।