প্রতারণার মাধ্যমে প্রবাসীর ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পোস্ট অফিসের কর্মচারীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে একটি মামলা হয়েছে।
বুধবার জেলার অভয়নগরের কোটা গ্রামের শেখ আব্দল আজিজের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মারুফ আহমেদ অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডি পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসারিমা হলো কেশবপুরের পাজিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিম সরদারের ছেলে হাফিজুর রহমান, ইউসুফ বিশ্বাসের ছেলে রবিউল ইসলাম ও আবুল কাশেমের ছেলে আবু সাঈদ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আব্দুল কুদ্দুস দীর্ঘদিন যাবত বিদেশে ছিলেন। বিদেশ থেকে তিনি টাকা পাঠাতেন তার স্ত্রীর কাছে। পোস্ট অফিসে টাকা জাম রাখতে যেয়ে আসামি অফিসের কর্মচারী হাফিজুর রহমানের সাথে তার স্ত্রীর পরিচয় হয়।
একপর্যায়ে প্রতারক হাফিজুর তার স্ত্রীরকে ধর্ম কন্যা পরিচয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলে বাড়িতে যাতায়াত করত। এরমধ্যে আব্দুল কুদ্দুস বাড়িতে ফিরে এসে পোস্ট অফিস থেকে টাকা তুলতে যান।
এ সময় হাফিজুর তার জমাকৃত ২২ লাখ টাকা ধার হিসেবে নেন মাসে লাখে ১ হাজার টাকা দেয়ার শর্তে। সরল বিশ্বাসে আব্দুল কুদ্দুস ওই টাকা তাকে ধার হিসেবে দেন এবং নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও হাফিজুর টাকা দিতে নানা তালবাহানা শুরু করে।
একপর্যায়ে হাফিজুর ১১ লাখ টাকার দুইটি চেক দেন তাকে। চেক দুইটি ব্যাংকে জমা দিলে ডিজঅনার হয়। বিষয়টি হাফিজুরকে জানালে তিনি নগদে ও চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করবে বলে একটি চুক্তিনামা করে দিয়ে পূর্বের চেক ফিরিয়ে নেয়।
এরপর হাফিজুরের কাছে টাকা চাইলে ওপর দুইজনসহ তাকে খুন জখমের হুমকি দেয়। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
