শিগগিরই দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে আসবে: কৃষিমন্ত্রী

abdur razzak
ফাইল ছবি

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্যের উৎপাদন ও সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে।

অন্যদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব খাদ্যশস্যের দামের ওপর পড়েছে। ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। দেশেও সম্প্রতি নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে।

এ অবস্থায় দেশে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ও মানুষের কষ্ট লাঘব করতে সরকার নিরলস চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া গরিব মানুষের কষ্ট লাঘব করার জন্য ভর্তুকিতে কম মূল্যে দেশের এক কোটি পরিবারকে নিত্যপণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষকে ভালোবাসেন ও সবসময় মানুষের মাঝে থাকতে চান, সেজন্যই তিনি কম মূল্যে নিত্যপণ্যের ব্যবস্থা করে নিম্নআয়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এতে দরিদ্র মানুষেরা উপকৃত হবেন ও তাদের কষ্ট অনেকটা লাঘব হবে।

রোববার সকালে টাঙ্গাইলের মধুপুরে মালাউড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রোববার (২০ মার্চ) মধুপুর পৌরসভা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার সবসময়ই জনগণের দুঃখ-কষ্টে পাশে ছিল, আছে ও ভবিষ্যতে থাকবে।

আজকে এক কোটি পরিবারকে কমমূল্যে নিত্যপণ্য দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। দেশে খাদ্য নিয়ে কোনো হাহাকার হবে না, কোনো সংকট হবে না।

সরকার এ ব্যাপারে খুবই সচেতন। প্রয়োজনে আরও খাদ্য ও সহায়তা নিয়ে আমরা জনগণের পাশে দাঁড়াব। মন্ত্রী বলেন, করোনা ও যুদ্ধের কারণে সাময়িকভাবে এ দাম বেড়েছে। কয়েকদিন পরেই রোজা শুরু হচ্ছে।

রমজান মাসে ঈদের আগে আমরা ভিজিএফ দেব, ১০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ করব। পর্যায়ক্রমে ছোলা, ডাল, পেঁয়াজ, খেজুরসহ বিভিন্ন পণ্য দেওয়া হবে।

এছাড়া এপ্রিলের মাঝামাঝিতে নতুন ফসল আসবে। সব মিলিয়ে আমরা দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো ও খুব শিগগিরই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে বলে আশাকরি।

তিনি বলেন, বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল ভিত্তিহীন তথ্যের ভিত্তিতে, নিত্যপণ্যের সামান্য দাম বাড়াকে অতিরঞ্জিত করে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির পাঁয়তারা করছে।

প্রতিবাদের নাম করে আন্দোলন-কর্মসূচি দিয়ে দেশে অরাজকতা তৈরি করার চেষ্টা করছে। দ্রব্যমূল্যের দাম কিছুটা বাড়লেও দেশে খাদ্যদ্রব্যের কোনো হাহাকার নেই, সংকট নেই।

এ অবস্থায়, বিএনপি যদি মনে করে দ্রব্যমূল্যের কিছুটা দাম বাড়ার জন্য দেশে আন্দোলন সংগ্রাম করবে, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে, সেটি তারা কিছুতেই পারবে না। তাদের এ অপপ্রয়াস অতীতের মতো এবারও ব্যর্থতায় পরিণত হবে।