ঘুমের মধ্যে স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে আদালতে দেয়া পিটিশন কোতয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে যশোর সদর উপজেলার ধোপাখোলা গ্রামে।
ওই গ্রামের শিখা খাতুন সোমবার ৪ এপ্রিল এজাহারে উল্লেখ করেছেন, কেশবপুর উপজেলার সন্ন্যাসগাছা গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে ইসমাইল শেখ শামীমের সাথে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর তার বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে আসামি শামীম বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবি করতো। তার ওপর মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাতো। ২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর শামীম ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।
এই ঘটনায় গত ২৪ জানুয়ারি আদালতে তিনি যৌতুক নিরোধ আইনে শামীমের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। পুলিশ এই মামলায় শামীমকে আটক করলে আদালতে মিমাংশার শর্তে শামীমকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয়।
২১ মার্চ শামীম জামিন পেয়ে তাকে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে না গিয়ে তার বাড়িতে থাকে। বলা হয় পরদিন কেশবপুরে নিয়ে যাবে। কিন্তু রাতের খাবার খেয়ে গুমিয়ে পড়লে আসামি কৌশলে চুপিচুপি একটি বালিশ দিয়ে তার মুখে চাপা দেয়।
সে সময় তিনি কোন রকম বালিশ সরিয়ে চিৎকার দিলে বাড়ির এবং আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে শামীম ছেড়ে দেয়। তখন পরিবারের লোকজনের সামনে তাকে কিল ঘুষি, লাথি, চড় মেরে জখম করে।
আলমারির মধ্যে রাখা ১৫ হাজার টাকা, এক জোড়া কানের দুল ও একটি সোনার চেইন নিয়ে চলে যায়। পরে পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে আদালতে একটি পিটিশন দেয়া হয়। ওই পিটিশন কোতয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড হয়।