বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন পবিত্র রমজান মাসে আমরা রোজা রেখে আমরা আমাদের শরীরকে পোড়াই, আমাদের শরীরকে খাটি করি এবং সবচেয়ে বেশী খাটি করি আমাদের নাফসকে।

যে নাফস অনেক সময় অনিয়ন্ত্রতি হয়ে আমরা ভুল ভ্রান্তির মধ্যে জড়িয়ে পড়ি। অনেক সময় আমরা অন্যের অনিষ্টর কারন হয়ে উঠি অন্যের ক্ষতির কারন হয়ে উঠি অন্যের অবমানের কারণ হয়ে উঠি নাফসকে নিয়ন্ত্রন করার মাস এই রমজান মাস। আজকে সেই মাসে দাড়িয়ে একটি কথা বলতে চাই।

আমরা যারা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ করি, কেন করি, কারন এই সংগঠনের নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। বাঙাালীর জাতির সকল লড়াই সংগ্রাম ঐতিহ্যর সংগ্রামে শেখ মুজিব এবং
শেখ হাসিনা জড়িয়ে রয়েছে।

দেশের উন্নয়ন মানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, দেশের স্বাধীনতা মানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, নির্যতিত নিপিড়ীত মানুষের অধিকার আদায়ের সকল কর্মসুচী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। সেই আওয়ামীলীগের একটি আদর্শ রয়েছে সেই আওয়ামলীগের একটি সৌন্দর্য রয়েছে সেই আওয়ামীলীগের কর্মপন্থা রয়েছে।

সেই কর্মপন্থায় কোন জুলূম আর অত্যাচার প্রশ্রয় পায় না। জুলূম আর অত্যারচারীরা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে প্রশ্রয় পায় না। কথা গুলো বললেন বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।

রোববার বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগ আয়োজিত বেনাপোল সোনালী ব্যাংক চত্বরে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত আহাবায়ক আহসান উল্লাহ মাষ্টার।

প্রধান অতিথি মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, গত ২০ টি বছর শার্শার আওয়ামীলীগের মধ্যে চলছে অত্যাচার লুন্ঠন, হত্যা গুম নানা ধরনের ষড়যন্ত্র। জামাত বিএনপি থেকে আসা লোককে আওয়ামীলীগে এনে ক্ষত বিক্ষত করছে। আমাদের সেই ষড়যন্ত্রকারীকে প্রত্যাখান করতে হবে।

১৯৮১ সালে জাতির জনকের কন্যা এদেশে এসে তার পরিবারকে পায়নি। তিনি নিজে বার বার জেল জুলূম
অত্যাচার নিপিড়ন সহ্য করে হাজার হাজার মেঠো পথ হেটেছেন। ১৯৮১ সাল থেকে এপর্যন্ত ৩৪ বার তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তবুও তিনি থেমে নেই।

আজ পৃথিবীর সকল রাষ্ট্র নায়করা শেখ হাসিনার গল্প করে। তার উন্নয়ন নিয়ে গল্প করে বিশ্বের নেতারা। আজ পিতার দেখানো স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে এই নেত্রী এগিয়ে চলেছে কাজ করে যাচ্ছে।

আর সেই নেত্রীর দল করে তার ছত্র ছায়ায় থেকে আ্জ যারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে কলুষিত করে তুলেছে তাদের কোন রকম ছাড় দেয়া হবে না।

এই শার্শার মাটিতে প্রায় ৫৪ জন আওয়ামীলীগ নেতা হত্যার শিকার হয়েছে। সম্প্রতি মগর আলীকে হত্যা করা হয়েছে এবং তা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্ট চালানো হচ্ছে। কারন মগর আলী ছিল শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি। তাকে সুপরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।