বেনাপোলে ৫ টি পিস্তলসহ পিতা-পুত্র আটক

বেনাপোলে ৫টি বিদেশী পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি ৪টি মোবাইল ফোন সহ পিতা পুত্র আটক হয়েছে। রোববার রাত ২ টার সময় পোর্ট থানার সাদিপুর গ্রাম থেকে শাহজামাল কালু (৫২) ও পুত্র সোহেল রানাকে (৩০) তাদের নিজ বাড়ি থেকে আটক করে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ সদস্যরা।

তবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাদের ঘরের ছাদে পিস্তল ও গুলি রেখে ফাসিয়েছে বলে দাবি করেছে ওই পরিবারের সদস্যরা। সোহেল রানার স্ত্রী মিম খাতুন বলেন, তার স্বামী আসন্ন পৌর সভার কাউন্সিলর নির্বাচন করবে বলে ইতিমধ্যে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে।

তাকে প্রতিপক্ষ ফাসানোর জন্য একাজ করেছে। তার স্বামী অস্ত্র ব্যবসায়ি নয়। সে বেনাপোল চেকপোষ্টে শ্রমিক হিসাবে কাজ করে। তার স্বামী যদি অস্ত্র ব্যবসা করবে তাহলে ৫টি অস্ত্র এক জায়গায় রাখবে কেন? এবং বাড়িতেই বা অস্ত্র রাখবে কেন?

আসন্ন পৌর নির্বাচনে সে নির্বাচন করবে বলে তাকে সু কৌশলে ফাসানো হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই গ্রামের জনৈক ব্যাক্তি বলেন, শার্শা উপজেলায় আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে দুইটি গ্রুপ রয়েছে।

এই গ্রুপিং থাকার কারনে সোহেলকে রাজনীতি থেকে দুরে সরিয়ে রাখতে প্রতিপক্ষ তাকে ফাসানোর জন্য বাড়িতে অস্ত্র ফেলে রাখতে পারে। তাদের বাড়ির পিছন দিয়ে ছাদে উঠা যায় মই অথবা গাছ বেয়ে। প্রতিপক্ষরা সুযোগ বুঝে অস্ত্র গুলি ভারত থেকে এনে তাদের ছাদে রেখেছে।

যশোর ৪৯ বিজিবি লে, কর্নেল শাহেদ মীনহাজ সিদ্দিকী বেনাপোল কোম্পানি সদর ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেনাপোল পোর্ট থানার সাদিপুর গ্রামে ধৃত শাহজামাল কালুর বাড়িতে রঘুনাথপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদের দিয়ে অভিযান চালানো হয়।

এসময় বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ সদস্যদের অভিযানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অভিযান পরিচালনার সময় ওই বাড়ির ছাদে সিড়ি ঘরের পাশে নারকেলের ছোবড়ার মধ্যে থেকে ভারতীয় তৈরী ৫টি পিস্তল ৪ রাউন্ড গুলি ও ৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয় ও কালু কে আটক করা হয়।

এরপর বাড়ির সদস্যদের শিকার উক্তি অনুযায়ী একটি তালা বদ্ধ চাউলের ড্রামের মধ্যে থেকে থেকে সোহেল রানাকে আটক করা হয়। অস্ত্রগুলি প্রতিপক্ষ দিয়ে ওই বাড়ির সদস্যদের ফঁসানোর চেষ্টা করেছে কি না তা জানার চেষ্টা করলে কালু বলে তার ছেলেকে এ অস্ত্র ব্যবসা করতে অনেক আগে নিশেধ করেছে।

কিন্ত সে তার কথা শোনে না। এছাড়া অন্য কেউ যদি এই অস্ত্র দিয়ে ফাসাবে তাহলে সোহেল কেন ড্রামের মধ্যে পালাবে। এতে ধারনা করা হচ্ছে এ অস্ত্র তারা ভারত থেকে নিয়ে এসেছে। তবে পুলিশ তদন্ত করলে আরো রহস্য বেরিয়ে আসবে। আসামিদের অস্ত্র সহ মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে সকাল সাড়ে ৭ টার সময় কালুর বাড়িতে যেয়ে দেখা যায় বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সদস্যরা ঘেরাও করে রেখেছে। ওই বাড়িতে প্রবেশ করতে চাইলে বিজিবি সদস্যরা কোন সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেয়নি। তারা বলে আমাদের নিষেধ আছে কেউ এখানে প্রবেশ করতে পারবে না।

নায়েক আওলাদ হোসেন বলেন, আমাদের উপরের নিষেধ আছে এখানে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। এসময় যশোর ৪৯ বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্নেল শাহেদ মীনহাজ সিদ্দিকীকে ফোন দিলে তিনি বেনাপোল ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য বলেন। তবে বেনাপোল ক্যাম্পে আসামিদের সাথে সাংবাদিকরা কোন কথা বলতে পারে নাই।