পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে: আইজিপি

অর্থ পাচার ও অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযগে ভারতে গ্রেপ্তার পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

তিনি বলেছেন, পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশনের। আমরা দুদককে সহযোগিতা করছি। ভারতের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

তিনি দেশ থেকে পালানোর সঙ্গে সঙ্গে এনসিবির মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা শুরু হয়। এ বিষয়ে ভারতের এনসিবির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কনস্টেবল জনি খানকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আইজিপি।

গত ১৫ মে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার পদুয়া লালারখিল গ্রামে অভিযানে গিয়ে আসামির দায়ের কোপে ওই কনস্টেবলের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

পুলিশ প্রধান বলেন, পুলিশ দেশ ও জনগণকে নিরাপদ রাখতে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করে। সতর্কতা অবলম্বন করা সত্ত্বেও অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে যায়।

প্রতি বছর এ ধরনের দুর্ঘটনায় আমরা অনেক সহকর্মীকে হারাই। অপরাধীর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সময় আমাদের এক সহকর্মীর বিচ্ছিন্ন হওয়া হাতের কব্জি দীর্ঘ প্রায় নয় ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে ডাক্তাররা সফলভাবে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন।

এমন জটিল অপারেশন পরিচালনাকারী চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান পুলিশ মহাপরিদর্শক। এ সময় পুলিশ প্রধান আহত কনস্টেবলের শয্যাপাশে অবস্থান করে তার চিকিৎসার খোঁজ নেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, পুলিশ কোনো জনগোষ্ঠী বা কারও টার্গেট কি না- বিষয়টি আমরা এভাবে দেখি না। আমরা অপরাধী ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করি।

যারা অপরাধী-সন্ত্রাসী, তারা তো ভয়ানক ব্যক্তি। তাদের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে এ রকম দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। এসব জেনেই আমরা সতর্কতার সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করি।