তিন বাহিনীর প্রধানসহ সবাইকে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নিরাপত্তার কাজে যারা নিয়োজিত, তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আমি নিজেও তো গুলি ও বোমার মুখে পড়েছি। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছে। হয়তো আল্লাহ আমাকে দিয়ে কোনো কাজ করাবেন, এজন্য বাঁচিয়ে রেখেছেন। দেশ অভিশাপমুক্ত যাতে হয়, সেই ব্যবস্থাটাই নিয়েছিলাম। যার কারণে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

আগামী ২৫ জুন বিরোধীতাকারীরা এমন ঘটনা ঘটাতে পারে যাতে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন না হয়, সেজন্য সব বাহিনীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৫ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)-এর ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে তিন বাহিনীর প্রধানসহ সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল- আমাদের কাছে তথ্য আছে, এমন একটা ঘটনা ঘটাবে যাতে আমরা উদ্বোধনটা করতেই না পারি।

 

তিনি বলেন, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে নারী সদস্য নিয়োগ আমরা শুরু করি। পুলিশে নারী সদস্য নিয়োগ জাতির পিতাই শুরু করেছেন। আমরা দেশটাকে সেভাবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা ভৌগলিক সীমারেখায় হয়তো ছোট, কিন্তু জনসংখ্যায় বড়। আমরা বড় হয়ে চলবো। বিশ্বে মর্যাদা নিয়ে চলবো। আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এই মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে এবং সেটা বাস্তাবায়ন করে এগিয়ে যাবো, এটাই আমাদের লক্ষ্য।

সরকার প্রধান বলেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণ পরিকল্পনার প্রথম দিন থেকেই ষড়যন্ত্র চলছে। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে বলে মিথ্যা অপবাদ আমাদের দিয়েছিল। দুর্ভাগ্য, আমাদের একজন স্বনামধন্য মানুষ, যাকে আমি সবচেয়ে বেশি সুযোগ -সুবিধা দিয়েছিলাম। সেই ড. ইউনুস বেইমানি করেছেন। তিনি ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে তিন লাখ ডলার ডোনেশন দিয়েছিলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদে থাকতে হিলারিকে দিয়ে ফোন করিয়েছেন। হিলারি আমাকে ফোনও করেন। আমার কাছে ধর্ণা দেন, তাকে আমি আইনের কথা বলেছি। বিশ্ব ব্যাংকের কাছে বার বার মেইল পাঠান, দুর্নীতি হয়েছে বলা হয়। আমি বলেছিলাম- দুর্নীতির প্রমাণ দিতে হবে। আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম যে, এটা প্রমাণ করতে হবে। পরে এটা ভুয়া প্রমাণ হয়েছে।