যশোরে পুলিশ দায়িত্বহীনতা এড়াতে ছিনতাই মামলা দস্যুতা হিসেবে রেকর্ড

jessore map

যশোরে টাকা ছিনতায়ের ঘটনা কোতয়ালি থানায় দস্যুতা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। ১০ দিন আগে এ ঘটনা ঘটলেও ১০ দিন পর দস্যুতা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। এ ধরনের ঘটনা কোতয়ালি থানায় হরহামেশা ঘটলেও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই। মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা মামলা হিসেবে রেকর্ড না করে অভিযোগ হিসেবে গ্রহন করে। কোতয়ালি থানা পুলিশ নিজের দায়িত্বহীনতা ঢাকতে অহরহ এ ধরনের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আর হয়রানির শিকার হচ্ছে থানায় সেবা গ্রহনকারি জনগন।

অভিযোগে জানা যায়, গত ১৬ জুন যশোর বেনাপোল সড়কের নতুন হাট বাজার ও গলফ ফিলিং স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে ইটের ভাটার সামনে ৪ লাখ টাকা ছিনতায়ের ঘটনা ঘটে। ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার খালকুলা কামালহাট গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে বর্তমানে শহরের পুলিশ লাইন বিবি রোড কদমতলা গোলাম মোস্তফার বাড়ির ভাড়াটিয়া বিল্লাল হোসেন (২৭) জানান, জজ কোর্ট গলিতে তার একটি গার্মেন্টসের দোকান আছে।

ঝিকরগাছা গদখালির নন্দীর ডুমুরে গ্রামের রফিকুলের কাছ থেকে ধার নেয়া ৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার জন্য একটি বাজার করা ব্যাগের মধ্যে রাখে। ১৬ জুন দুপুর সোয়া একটার দিকে সে মোটর সাইকেল নিয়ে বের হয়ে যায়। একই দিন দুপুর সোয়া ২ টা ২০ মিনিটের দিকে যশোর বেনাপোল সড়কের নতুন হাট বাজার ও গলফ ফিলিং স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে ইটের ভাটার সামনে পৌছুলে কতিপয় ব্যক্তি আরেকটি মোটর সাইকেলে পিছন থেকে যেয়ে বিল্লালের মোটর সাইকেলে গতিরোধ করে। বিল্লাল গতিরোধ করার কারণ জানতে চেলে ওই ব্যক্তিরা ছুরি বের করে এলাপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। বিল্লাল হেলমেট দিয়ে প্রতিরোধ করে। এক পর্যায়ে কতিপয় ব্যক্তিরা বিল্লালকে ভয়ভীতিসহ খুন জখমের হুমকি দিয়ে তার মোটর সাইকেল থেকে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে তাদের মোটর সাইকেলে যশোরের দিকে চলে আসে।

এঘটনায় বিল্লাল থানায় ছিনতাই মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ দস্যুতা মামলা হিসেবে রেকর্ড করে। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হচ্ছে শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া বিল্লাল মসজিদের পাশে আব্দুস সামাদের ছেলে রবিউল ইসলাম রবি, শহরতলীর বিরামপুরের আব্দুল কাদেরের ছেলে আক্তারুজ্জান অনিক ও বিরামপুর ফকিরের মোড়ের আশা। এদের মধ্যে শনিবার রাতে বাড়ি থেকে পুলিশ রবিকে আটক করে। তাও আবার ঘটনা ঘটার ১০ দিন পর মামলা রেকর্ড করা হয়। এছাড়াও কোতয়ালি পুলিশ ২৫ জুন শনিবার রাতে শহরতলীর শেখহাটি মসজিদ মোড়, মহিলা মাদ্রাসার পিছনে আলী আকবরের দোতলা বাড়ির নীচতলার গেট, ক্লবসিবল ভেঙ্গে একটি ইয়ামাহা এফ জেড মোটর সাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। রোববার সকালে ঘুম থেকে উঠে আলী আকবর বাড়ির মেইন গেটের হেজবোল্ড ও ক্লবসিবল ভাঙ্গা দেখে ঘটনাটি টের পায়। বাড়ির নীচতলায় একটি রুমে মোটর সাইকেলটি তালা দিয়ে রাখা ছিলো।

এ ঘটনায় আকবর রোববার কোতয়ালি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। আলী আকবরকে অভিযোগ হিসেবে দিতে বলে। এরপর ডিউটি অফিসার অভিযোগটি তালবাড়িয়া ফাঁড়ি পুলিশকে দেয় বিষয়টি দেখার জন্য। এ ভাবে কোতয়ালি থানা পুলিশ মুল ঘটনা গোপন করে নিজেদের দায়িত্বহীনতা ঢাকছে। আর হয়রানির শিকার হচ্ছে থানায় সেবা গ্রহনকারি জনগন।