যশোরে তালাক গোপন করে স্বামী স্ত্রী হিসেবে মেলামেশা করায় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা

mamla rai

তালাকের কাগজ ছয় বছর গোপন করে স্বামী স্ত্রী হিসেবে মেলামেশা করার এক পর্যায় তালাকের কাগজ দেওয়ায় মেহেদী- আল- মাসুদ রাজ (২৭) নামে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। সে যশোর শহরের বেজপাড়া গোলগুল্লার মোড়ের আব্দুর রউফের ছেলে। এ ঘটনায় যুবতী (২৩) পর্যায়ক্রমে ধর্ষনের অভিযোগে সোমবার দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে।
মামলায় যুবতী উল্লেখ করেন, মেহেদী- আল- মাসুদ রাজ এর সাথে যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক করে উভয়ের সম্মতিতে গত ১১ মার্চ ২০১৭ সালে আড়াই লাখ টাকার দেন মোহর ধার্য্যে ইসলামী শরিয়াত মোতাবেক তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। মেহেদী আল-মাসুদ রাজ ডাক্তারী পড়াশুনা শেষে বাদিকে তার বাড়িতে নিবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। মেহেদী-আল-মাসুদ রাজ প্রায়ই সময়ে বাদির পিতা মাতার বাড়িতে এসে বাদির সাথে স্বামীস্ত্রী হিসেবে মেলামেশা করে। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৫ টায় বাদির মা বাড়িতে না থাকায় আসামী বাদির বাড়িতে এসে তার শয়ন কক্ষের মধ্যে বাদির সাথে শারিরীক সম্পর্ক করে। সর্বশেষ গত মাস ৩ জুলাই মেহেদী-আল-মাসুদ রাজকে বাদি তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বললে আসামী বাদিকে বিভিন্ন আশ^াস দেয়। গত মাসের ৩ জুলাইয়ের পর থেকে আসামী বাদির সাথে যোগাযোগ বা কথাবার্তা বন্ধ করে দিলে বাদি তার মাতা এর সাথে গত ২০ জুলাই বিকেল ৪ টায় আসামীর বাড়িতে যেয়ে অবস্থান করতে থাকে। আসামীর পিতার বাড়িতে ৪/৫ দিন অবস্থানকালে আসামীর পিতা আব্দুর রউফ তার ছেলে কর্তৃক দেওয়া তালাকের কাগজ দিয়ে বলে যে,বাদিকে তার ছেলে গত ২০১৭ সালের ১১ জুন তালাক দিয়েছে। তালাকের কপি পেয়ে বিষয়টি বাদি তার মাকে জানালে মেহেদী-আল-মাসুদ রাজ এর বাড়ি হতে বাদিকে তার মাতা নিয়ে আসে। মেহেদী-আল-মাসুদ রাজ তালাকের কাগজ গোপন রেখে দীর্ঘ ৬ বছর বছর যাবত বাদির সাথে স্বামীস্ত্রী হিসেবে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে। ঘটনার বিষয় স্থানীয় লোকজনকে জানিয়ে পারিবারিক ভাবে আলোচনা করে থানায় মামলা করেন। এই মামলার বাদি কোতয়ালি মডেল থানার এসআই শরীফ আল মামুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,অভিযুক্ত আসামী মেহেদী-আল-মাসুদ রাজ ধরা পড়েনি। গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাকে ধরা পড়তে হবে।