যশোরে ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ি আকবর আত্মহত্যা করেনি তাকে হত্যা করেছে

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পার খাজুরা গ্রামের মৃত আরশাদ আলীর ছেলে ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ি আকবর আলী সানা আত্নহত্যা করেনি। আকবর আলী সানাকে তার স্ত্রী মোছাঃ রহিমা বেগম শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা আটক রহিমা বেগমকে আদালতে সোপর্দ করলে সে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পিবিআইয়ের এস আই হাবিবুর রহমান শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে রহিমাকে তার পিতার বাড়ি কেশবপুর উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত রহিমা বেগম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিনকে জানায়, আকবর আলীসানা পেশায় একজন ভাংগাড়ী ব্যবসায়ী। ১৪ ফেব্রুয়ারি আকবর আলী সানা বাগেরহাট জেলা থেকে ভাংগাড়ী ব্যবসা শেষে নিজ বাড়িতে আসে। তাদের মধ্যে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত অনুমান ১০ টায় খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আকবর আলী সানা তার স্ত্রী অভিযুক্ত মোছাঃ রহিমা বেগমসহ সন্তানদের নিয়ে ঘুমতে যায়। ওই দিনই দিবাগত রাত ২২ ফেব্রুয়ারি ভোর অনুমান ৪ টা থেকে পৌনে ৫ টার মধ্যে ভিকটিম আকবর আলীসানা অভিযুক্ত মোছাঃ রহিমা বেগমের সাথে শারীরিক মেলামেশা করতে চায়।

রাজি না হওয়ায় ভিকটিম আকবর আলীসানা রহিমা বেগমকে মারপিট করে। এতে রহিমা বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্বামী ভিকটিম আকবর আলী সানার সাথে ধস্তাধস্তি করে। ভিকটিমের মুখে আঘাত করে। ধস্তাধস্তির সময় ভিকটিম আকবর আলী সানা শয়নরত খাটের সাথে মাথায় আঘাত পায়। এক পর্যায়ে রহিমা বেগম ঘরের মধ্যে তার ব্যবহৃত ওড়না স্বামী আকবর আলীসানা গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। রহিমা বেগমকে অদ্য ০৩ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা বসুর আদালতে সোপর্দ করা হলে রহিমা খাতুন ফৌঃকাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।