যশোর শহরতলী থেকে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী অপহরণের অভিযোগে মামলা

প্রকাশ্যে ফুসলিয়ে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী ঈশান্বীতা হালদার (১৫)কে অপহরণ করে অবৈধভাবে আটকের অভিযোগে তিন সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখসহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে সোমবার ৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন, যশোর সদর উপজেলার নীলগঞ্জ (তাঁতীপাড়া) (সুপারী বাগান) এলাকার মৃত মহারাজ হালদারের ছেলে অপহৃতা শিশুর পিতা বাবু হালদার। মামলায় আসামী করা হয়েছে,নড়াইল জেলার সদর উপজেলার বিছালী গ্রামের আবু জাহার ছেলে সুমন, যশোরের অভয়নগর উপজেলার পোড়াখালী গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুল্লাহ, একই উপজেলার কাপাসাটি(ভাঙ্গাগেট) এলাকার আব্দুল কাশেমসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন।

মামলায় বাবু হালদার বলেছেন,তার নাবালিকা মেয়ে ঈশান্বীতা হাদলার (১৫) যশোর সদরের বালিয়াডাঙ্গা প্রগতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। গত ২৮ আগষ্ট বেলা ২ টায় বাদির মেয়ে বাড়ি হতে কোচিং এ যাওয়ার কথা বলে বাড়ি হতে বের হয়। পরবর্তীতে সে বাড়িতে ফিরে না আসায় বাদি বাধ্য হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডাইরী করেন,যার নং ১৬৮২,তারিখ ২৯/০৮/২২ ইং।

পরবর্তীতে খোঁজখবর করে বাদি জানতে পারেন সুমন তার সহযোগীদের সহায়তায় বাদির মেয়েকে মিথ্যা প্রলোভনে ফুসলিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ২৮ আগষ্ট দুপুর ২ টায় নীলগঞ্জ ডুসেক স্কুলের সামনে অজ্ঞাতনামা দু’টি মোটর সাইকেল যোগে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। ঘটনার বিষয় সুমনের মামা ও তার জামাইদের অবহিত করলে ঘটনার কথা স্বীকার করে এবং বাদির মেয়ে ও সুমন বর্তমানে অবস্থান সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে। সুমন তার সহযোগীদের সহায়তায় বাদির মেয়েকে ফেরত না দিয়ে বর্তমানে অজ্ঞাতস্থানে অবৈধভাবে আটক করে রেখেছে বলে বাদি মামলায় উল্লেখ করেন। সুমন ও তার জামাই ঘটনার বিষয় অবগত আছেন বলে বাদির সন্দেহ হয়। বাদি তার নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধারের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে আলাপ আলোচনা করে মামলা করতে বাধ্য হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ অপহৃতাকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছেন।