আজ বৃহস্পতিবার যশোরের কেশবপুর উপজেলায় এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের হয়রানি ও তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও গালিগালাজের প্রতিবাদে ভালুকঘর বাজারের সব দোকানপাট আধাবেলা বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের দাবি, ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কয়েকজন ব্যবসায়ীর জানান, বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী আবু হাসান দত্তনগর গ্রামের ইসরাফিল হোসেনের কাছে ৩ হাজার ৭০০ টাকা পান। ২০০৮ সালে থেকে আবু হাসান তাঁর (ইসরাফিল) কাছে ওই পাওনা টাকা চেয়েও পাচ্ছিলেন না। গত সোমবার বিকেলে ইসরাফিলের মোটরসাইকেলটি রেখে দিয়ে আবু হাসান টাকা আনতে বলেন।
ইসরাফিল ভালুকঘর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজুর রহমানকে বিষয়টি জানালে তিনি দুজন কনস্টেবলকে পাঠিয়ে ব্যবসায়ী আবু হাসাকে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। কেন মোটরসাইকেল আটকিয়েছেন জানতে চেয়ে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ফাঁড়ির হাজতখানায় ঢুকিয়ে দেন এসআই আজিজুর।
খবর পেয়ে এলাকার দুজন ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান ও ফারুক হোসেন ওই ব্যবসায়ীকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় যান। সেখানে এসআই আজিজুর সিদ্ধান্ত দেন ব্যবসায়ী আবু হাসানকে ইসরাফিলের আর টাকা দেওয়া লাগবে না। এরপর ওই ব্যবসায়ীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনেন ওই দুই ইউপি সদস্য।
বাজারের রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী রাজু আহম্মেদ অভিযোগ করে বলেন, এসআই আজিজুর বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। অপর ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, এসআই আজিজুর তাঁর (মিজানুর) কাছে একটি চোরাই মুঠোফোন আছে বলে তাঁকে হয়রানি করেন।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, ওই পুলিশের কর্মকর্তা প্রায়ই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। তাঁদের গালিগালিজ করেন। তাঁর অত্যাচারে তাঁরা অতিষ্ঠ। তাঁরা ওই পুলিশ কর্মকর্তার হাত থেকে মুক্তি চান। তাঁরা দাবি করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করা হোক।
এ ব্যাপারে এসআই আজিজুর বলেন, তিনি ব্যবসায়ী আবু হাসানকে হাজতখানায় ঢোকাননি। তাঁর সঙ্গে কোনো দুর্ব্যবহার করেননি। তবে টাকা পরিশোধের সিদ্ধান্ত দেন বলে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের করা অভিযোগ সত্য নয়।
এ বিষয়ে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দীন বলেন, তিনি বিষয়টির খোঁজখবর নিচ্ছেন।