খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, নির্বাচন এলেই একটি মহল ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে। তাই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
সোমবার বেলা ১১টায় নিয়ামতপুর জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজার এই অনুষ্ঠানকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, নির্বিঘ্নে ও উৎসব মুখর পরিবেশে সম্পন্ন করতে প্রতিটি মণ্ডপে ৩০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। ১০ জন করে টিম তৈরি করে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পূজা করলেও সবাই মিলে উৎসব করে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি মণ্ডপের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও পুরোহিতদের আযান, নামাজের সময়সূচি মনে রাখতে হবে। দরকার হলে মণ্ডপে মণ্ডপে সেই সময়সূচি ঝুলিয়ে রাখতে হবে। যাতে নামাজে কোন বিঘ্ন না ঘটে। আমি সম্মান পাবো, যদি আমি অন্যকে সম্মান করি। তাই প্রত্যেকে প্রত্যেকের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আইয়ুব হোসাইন মণ্ডল, নাদিরা বেগম, অফিসার ইন চার্জ হুমায়ূন কবির, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু ঈশ্বর চন্দ্র বর্মণ, সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জন বিজয়পুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব।
সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের পক্ষ হতে উপজেলার ৬৪টি মণ্ডপে প্রতিটির জন্য ২ হাজার টাকা এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদের পক্ষ হতে ১ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়।