সব বিভাগের পর ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি

mirza fokrul
ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগরীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ধারাবাহিক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে, এবার দেশের আট বিভাগে গণসমাবেশ করার কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। বিভিন্ন মহানগরে গণসমাবেশ শেষে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে দলটি।

বুধবার, রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয় দলটি।

মির্জা ফখরুল বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, চলমান আন্দোলনে নেতাকর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদ, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ৮ অক্টোবর হতে সারাদেশে বিভাগীয় গণ-সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি জানান, ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম, ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ, ২২ অক্টোবর খুলনা, ২৯ অক্টোবর রংপুর, ৫ নভেম্বর বরিশাল, ১২ নভেম্বর ফরিদপুর, ১৯ নভেম্বর সিলেট, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী এবং ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশ করবে বিএনপি।

এছাড়াও আব্দুর রহিম, নূরে আলম, শাওন, শহিদুল ইসলাম শাওন ও আব্দুল আলিমের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আগামী ৬ অক্টোবর দেশের সব মহানগর পর্যায়ে শোভাযাত্রা করবে দলটি। আর ১০ অক্টোবর সব জেলা পর্যায়ে শোকযাত্রা করা হবে বলে জানান বিএনপির মহাসচিব।

তিনি বলেন, বিএনপির সভায় অনির্বাচিত সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে আরও বেগবান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে হবে। সরকারের পদত্যাগের আগেই নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে।

বিএনপির সাম্প্রতিক সমাবেশগুলোতে জনসম্পৃক্ততা বেড়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমরা জনগণকে সম্পৃক্ত করতে চাই, এটাই সবচেয়ে বড় জিনিস। জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রচণ্ড গণআন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করতে চাই।

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা জানান মির্জা ফখরুল। এ সময় তিনি হামলাকারীদের বহিষ্কার ও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাবি ভিসির অপসারণ দাবি করেন।

তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে দাবি উঠেছে, এই সরকারের পতন হওয়া উচিত। সব হামলার দায় নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়া উচিত। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে হবে।

করতোয়া নদীতে নৌকাডুবিতে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় সরকারের সক্রিয় উদ্ধার তৎপরতা না থাকায় তীব্র জানাচ্ছি। একই সঙ্গে অবিলম্বে নিখোঁজদের উদ্ধার ও ক্ষতিগ্রস্ত সব পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানান তিনি।