যশোর সদরের নিউ মডেল কলেজের এমপিওভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

এমপিওভুক্তি হতে না পারায় মানববন্ধন করেছে যশোর সদরের নিউ মডেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসি। শনিবার বেলা ১১ টার দিকে কলেজের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে শিক্ষক কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরাও অংশ নেয়।

মানববন্ধনে বক্তৃরা বলেন, নীতিমালায় অস্পষ্টতা থাকায় শর্ত পূরণ করেও এমপিওভুক্ত হতে পারেনি সদরের চুড়ামণকাটি ইউনিয়নের নিউ মডেল কলেজ। বিশেষ করে কলেজের বিভাগভিত্তিক শিক্ষার্থী এবং পরীক্ষার্থী সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি থাকায় প্রতিষ্ঠানটি তালিকা থেকেই বাদ পড়েছে। আবার আবেদন করেও তারা এমপিওভুক্তিতে তালিকায় নাম উঠাতে পারছে না। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে (মাউশিতে) চিঠি চালাচালি করেও তারা সমস্যার কোনো সুরাহা করতে পারছে না।

কলেজটির অধ্যক্ষ ড.আলমগীর কবির মিলন জানান, তাদের কলেজটি সর্বশেষ শুধুমাত্র মানবিক বিভাগে এমপিওভুক্তির আবেদন করে। কিন্তু সব ধরনের ক্রাইটেরিয়া পূরণ করা হলেও এবং তিন বছরের পরীক্ষার্থী গড়ে ৪৬ জনের পাসের হার ৫৩ শতাংশ হলেও এমপিওভুক্ত করা হয়নি কারণ হিসেবে ১০৯ নম্বর ক্রমিকে বলা হয়েছে কাম্য পরীক্ষার্থী ও কাম্য পাসের হার নেই। ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী ৪০ জন হলে পরীক্ষার্থী কখনো ৪০ এর বেশি হতে পারে না। কিন্তু নীতিমালাতে তিন বিভাগের জন্য ৬০ জন পরীক্ষার্থীর কথা বলা হয়েছে সেই হিসেবে প্রতি বিভাগে ২০ জন করে তিন বিভাগে ৬০ জন পরীক্ষার্থী হওয়ার কথা। শুধুমাত্র মানবিক বিভাগের জন্য আবেদন করে ওই প্রতিষ্ঠানে তিন বছরের গড় পরীক্ষার্থী ৪৬ জন এবং গড় পাসের হার ৫৩ শতাংশ থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করা হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণের নতুন নীতিমালায় কিছু বিষয়ে অস্পষ্টতায় শিক্ষকদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে নতুন এই নীতিমালায় বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি সহজ করা হলেও কলেজপর্যায়ে কঠিন করা হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।

কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক ইদ্রিস আলী জানান, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আমাদের শিক্ষক কর্মচারীরা খেয়ে না খেয়ে প্রতিষ্ঠানে শ্রম দিয়ে আসছে। তাদেরও সংসার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। অন্য শিক্ষকদের মতো সংসার খরচ, সন্তাদের লেখাপড়া, পরিবারের সবার চিকিৎসার খরচ বহন করতে হয়। আমাদের শিক্ষরা চাকুরি করে ঠিকই কিন্তু বেতন পায় না। তারা যেন জীবন্ত লাশের মতো জীবন অতিবাহিত করছেন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে। আর কতদিন তাদের অসহায় জীবন চলবে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কলেজের প্রভাষক শারমিন আফরোজ, অফিস সহকারী সালমা খাতুন, শিক্ষার্থী ফারজানা ইসলাম, শাকিল ইসলাম, সুমাইয়া খাতুন প্রমুখ।