গাইবান্ধা-৫ আসনে পুনরায় তফসিল ঘোষণার দাবি জিএম কাদেরের

গাইবান্ধা-৫ আসনে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের।

বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে আজ সকাল থেকেই প্রায় শতভাগ কেন্দ্রে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্টদের জোর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা। তারা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাঁধা দিয়েছে, আবার ভোট কেন্দ্রের গোপন কক্ষে সন্ত্রাসীরা অবস্থান করে ভোটারের ইচ্ছের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। এ সব কারণে, ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন গাাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেছে। এজন্য আমরা জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

একই সঙ্গে আমরা গাইবান্ধা- ৫ আসনে তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।

এর আগে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপার নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।

এসময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, সুমন আশরাফ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আল যুবায়ের ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ভোটকেন্দ্রে নানা অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

সিইসি বলেন, প্রথমে নানা অনিয়মের কারণে ৫১ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম পুরো নির্বাচনি এলাকায় ভোটগ্রহণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার। সেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। সেখানে আর ভোট হচ্ছে না। ভোটের বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হবে। বন্ধ হওয়া ভোটের বিষয়ে আইন পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর পর বেলা সোয়া ২টার দিকে ঢাকায় নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সামনে এসে এ ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ায় আমরা সমগ্র নির্বাচনি এলাকা, গাইবান্ধা-৫ নির্বাচনি এলাকার ভোট কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। সে সিদ্ধান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।