ঝিনাইদহের বাজারগুলোতে বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ,কমেছে দাম

ঝিনাইদহের হাট বাজারগুলোতে বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। নানা প্রকার সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় কমেছে দাম। এতে কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেছে ভোক্তারা।

ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত জেলার ৬ উপজেলা ৩ হাজার ৬১৫ হেক্টরে জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, শিম, বরবটি, পালংশাক, করলা, বেগুণসহ নানা প্রকার সবজি বাজারে আসায় দাম কমেছে প্রায় অর্ধেক।

বর্তমানে বিভিন্ন হাটবাজারে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি ফুলকপি ৩৫ টাকা, সীম ৮০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৩০ টাকা, পটল ২৫ টাকা, মুলা ২০ টাকা, কাকরোল ২০ টাকা, পালংশাক ৩০ টাকা ও বরবটি ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও লাউ প্রতি পিস ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, লালশাক প্রতি আঁটি ৮ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা ও বরবটি প্রতি কেজি ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভাটই গ্রামের কৃষক নাজমুল হোসেন বলেন, আগাম শীতকালীন সবজির ভালো দাম পেয়েছিলাম। এখন শীতকালীন সবজি উঠেছে তাই দাম কিছুটা কম। এবার দাম একটু ভালো পাওয়ার কারণে কিছুটা লাভ হয়েছে।

সদর উপজেলার নগরবাথান গ্রামের কৃষক তোহিদুল ইসলাম বলেন, আগাম শীতকালীন সবজিতে খরচ বেশি হয়েছিলো। কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে সেসময় সবজি নষ্ট হয়েছিলো। তবুও দাম ভালো পাওয়ার কারণে সেই ক্ষতিটা পুষিয়ে উঠেছি। এখন শীতকালীন সবজির ফলন বেশি পাচ্ছি। দাম কিছুটা কম হলেও সমস্যা হচ্ছে না।

ঝিনাইদহ শহরের নতুন হাটখোলায় সবজি কিনতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন তো সবজি কেনাই যাচ্ছিলো না। এখন সবজির সরবরাহ বেশি হওয়ার কারণে দাম কম।

ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহের উপ পরিচালক আজগর আলি বলেন, আবহাওয়া অনুকুল হওয়ায় শীতকালীন সবজির উৎপাদন বেড়েছে। একারনে দামও কমেছে। আগামীতে দাম আরো পড়বে বলে তিনি জানান।