যশোরে ৫০বোতল ফেনসিডিলসহ রায়হান আহমেদ রাব্বি (২৬) নামে এক মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। আটক রাব্বি বেজপাড়ার পিয়ারী মোহন রোডের সুলতান আহম্মেদের ছেলে। এ সময় আরো তিন জন পালিয়ে যায়। পলাতক আসামিরা হলো একই এলাকার খায়রুল আলম ভক্তির ছেলে শাকিল আলম (২৭) রবিউল আলম রবির ছেলে আশরাফুল আলম পিয়াল (২৮) ও বেজপাড়া বুনো পাড়ার বুনো আসাদের ছেলে আনিসুজ্জামান (২৬)। এঘটনায় আটক ও পলাতক চার জনের নামে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়।
ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, ডিবির এসআই শেখ আবু হাসান, এসআই সোলায়মান আক্কাস, এএসআই শফিউর রহমান, এএসআই নাজমুল ইসলামের সমন্বয়ে একটি টিম গোপনে খবর পায় নিউমার্কেট সজল অটোর সামনে ৪ মাদক ব্যবসায়ি ফেনসিডিল বিক্রির জন্য প্রাইভেটকার নিয়ে অবস্থান করছে।
এ খবরের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যায় সেখানে অভিযান চালানো হয়। সেখানে যেয়ে দেখা যায় সজল অটোর সামনে প্রাইভেটকারের পাশে একজন দাঁড়িয়ে আছে। ডিবি পুলিশ দেখে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। সহযোগি অফিসার ও ফোর্সের সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়। এ সময় অন্য তিনজন প্রাইভেটকার নিয়ে পালিয়ে যায়। আটক আসামি তার নাম রাব্বি বলে জানায়। জিজ্ঞাসাবাদে আটক রাব্বি জানায়, পলাতক আসামি শালিক ও পিয়ালদের মালিকানা সদরের পদ্মবিলায় যশোর ট্রেডিংয়ের অভ্যন্তরে ইলা অটো রাইস মিলের গোডাউনের উত্তর পূর্ব কোনায় ধানের গুদামে বস্তায় ভরে ফেনসিডিল মজুত করে রেখেছে। এখান থেকে ফেনসিডিল নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে। আটক রাব্বির দেয়া তথ্য অনুযায়ি পদ্মবিলার ইলা অটো রাইস মিলে অভিযান চালিয়ে গোডাউনের উত্তর পূর্ব কোন থেকে ৫০ বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। ফেনসিডিল গুলি একটি সাদা প্লাস্টিকের ব্যাগে পৃথক দুটি প্যাকেটে রাখা ছিলো। ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় এসআই শেখ আবু হাসান বাদী হয়ে আটক ও পলাতক ৪ জনের নামে মামলা করেন। ফেনসিডিল মামলার আসামিদের মধ্যে আশরাফুল আলম পিয়াল উপশহরের হাসিব ট্রেডার্সে চাঁদাবাজির সময় ৪ আগস্ট আটক হয়। পিয়ালের নামে চাঁদাবাজি ছাড়াও অস্ত্র, মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা রয়েছে।
