মাইক্রোবাস শ্রমিকের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি, মহাসড়ক অবরোধ

বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার রেকার দিয়ে সরানোকে কেন্দ্র করে ভাঙ্গা মাইক্রোবাস সমিতির শ্রমিকদের সঙ্গে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের ধস্তাধস্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুই শ্রমিককে আটক করা হলেও পরবর্তীতে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগে সকালে শ্রমিকদের আটকের ঘটনার প্রতিবাদে মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। শনিবার পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা পৌরসভা সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভাঙ্গা মাইক্রোবাস সমিতির শ্রমিকদের উদ্যোগে ১৫ নভেম্বর ভাঙ্গা পৌরসভার মাঠ প্রাঙ্গণে একটি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজনের প্রস্তুতি চলছিল। এ কাজের জন্য শনিবার সকালে হাইওয়ে থানায় যান স্থানীয় শ্রমিক নেতা খলিলুর রহমান খোকনসহ অন্যরা। এ সময় রেকার বিল বাবদ অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন হাইওয়ে থানা পুলিশ। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের বাকবিতণ্ডাসহ ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে দুই শ্রমিককে থানায় আটক করা হয়। এর প্রতিবাদে মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও হাইওয়ে থানার ওসির অপসারণ দাবি করেন শ্রমিকরা। পরে থানা পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

মাইক্রোবাস সমিতির সভাপতি খোকন জানান, রেকার বিল বাবদ হাইওয়ে পুলিশ তাদের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। এতে দুই শ্রমিককে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে তাদের থানায় আটকে রাখার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।

শ্রমিকরা আরও অভিযোগ করেন, প্রতিদিন মহাসড়কে চলাচলরত অটো গাড়ি, নসিমন-মাহিন্দ্র থেকে থানা পুলিশ ও কিছু অসাধু ব্যক্তির গোঁপন যোগসাজসে মোটা অংকের চাঁদা তোলা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন ও স্টিকার ব্যবহার করে মহসড়কে চলছে নামে-বেনামে অটো রিকশাসহ থি-হুইলার।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তৈমুর ইসলাম জানান, স্থানীয় শ্রমিক নেতা খোকনসহ তার আরও সহযোগী কয়েকজন থানায় আসেন এবং পুলিশকে গালমন্দ করে। পরবর্তীতে পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে আলোচনার পর আটককৃতদের একটি মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাইওয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের করা অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম জানান, পৌরসভার ট্রান্সফর্মার সরানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শ্রমিক ও হাইয়ে থানা পুলিশের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়। সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি থানায় চলে আসেন। পরবর্তীতে সে বিষয়ে কি সমাধান হয়েছে তা তিনি জানেন না।