জঙ্গি ছিনতাই: সাতক্ষীরায় রেড অ্যালার্ট, টেকনাফে সতর্কতা

আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গি সদস্য যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সেজন্য পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবিকে সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরসহ সীমান্ত এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

এছাড়া কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তজুড়ে সর্তক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি সদস্যরা। একইসঙ্গে টেকনাফ স্থলবন্দরেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, সোমবার সকাল থেকে ভোমরা স্থলবন্দর থেকে ভারতগামী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে পারাপার করা হচ্ছে। একইসঙ্গে সাতক্ষীরার ২৩৮ কিলোমিটার জল ও স্থল সীমান্ত পথে বিজিবির নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজরিহা হোসাইন জানান, পাসপোর্টধারীদের ছদ্দবেশে কোনো জঙ্গি যেন সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে সেজন্য সবোর্চ্চ সতর্কতার সঙ্গে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা-৩৩ বিজিবির অপারেশন অফিসার মেজর রেজা আহমেদ জানান, দুই জঙ্গি সদস্যের ছবি সীমান্তের সব বিওপিতে পাঠানো হয়েছে। সীমান্ত অঞ্চলে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পলাতক জঙ্গি সদস্যরা যেন সীমান্ত পার হতে না পারে সে ব্যাপারে সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।টেকনাফ প্রতিনিধি জানান, আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গির দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তজুড়ে সর্তক অবস্থানে রয়েছেন বিজিবি সদস্যরা। এছাড়া টেকনাফ স্থলবন্দরেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সীমান্তে দিয়ে যেন জঙ্গি সদস্যরা পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য আমরা সর্তক অবস্থানে রয়েছে। বিজিবির চৌকিগুলোতেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি আমাদের চেকপোস্টে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

টেকনাফ স্থলবন্দরের ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন চৌধুরী জানান, আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দু’জন জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। মিয়ানমারে আমদানি-রপ্তানি করা পণ্যবাহী ট্রলারগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধি করেছি।