ডেঙ্গু আতঙ্কে শৈলকুপা উপজেলার দুটি গ্রাম

ডেঙ্গু আতঙ্কে শৈলকুপা উপজেলার দুটি গ্রাম ।মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু এখন আতঙ্কের নাম। ঝিনাইদহে দিন দিন বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শহরাঞ্চল নয় এখন বেশিরভাগ গ্রামাঞ্চলেও এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মশা নিধনে নেই সরকারী কোন উদ্যোগ। তাই মশাবাহিত রোগ আতঙ্কে ভুগছে গ্রামাঞ্চলের মানুষ। দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি স্থানীয়দের।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ডেঙ্গু আতঙ্ক গ্রামের নাম চন্ডিপুর ও বাজুখালী। পাশাপাশি গ্রাম দুটিতে ব্যপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু রোগ। প্রায় প্রতি বাড়িতেই রয়েছে ২ থেকে ৪ জন করে রোগী। ডেঙ্গু আতঙ্কে আছে অত্রাঞ্চলের মানুষে।

চন্ডিপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন। বাড়ি থেকেই জ¦রে আক্রান্ত হয়। হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। পরবর্তীতের তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। ডেঙ্গু নেজেটিভ হয়ে বাড়ি ফিরলেও শারীরিকভাবে তিনি এখনও রয়েছেন দুর্বল। তার বাড়িতে আরো তিনজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী রয়েছে। তারা স্থানাীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

শুধু সোহাগ হোসেনই নন, তার গ্রামসহ পাশের বাজুখালী গ্রামে প্রায় ৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী রয়েছে। ওই গ্রাম দু’টিতে গেলেই চোখে মেলে বাড়ির উঠান, বরান্দা কিংবা ঘরের মধ্যে জ¦রে আক্রান্ত রোগীদের চলছে সেবাসুশ্রসা। কেউ হাসপাতালে আবার কেউ বাড়িতে থেকেই নিচ্ছে চিকিৎসা । অনেকেই চিকিৎসা নিয়েছে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে। মশা নিধনে প্রশাসনের নেই কোন পদক্ষেপ। তাই ডেঙ্গু আতঙ্ক বিরাজ করছে ঐ এলাকার মানুষের মাঝে।

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেন, মশা নিধনসহ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যপারে সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে ।
ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবার মানউন্নয়নের পাশাপশি সচেতনতামুলক সকল কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলে জানান ঝিনাইদহ ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ রাশেদ আল মামুন।

ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, জেলায় সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের ২০ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৯২ জন। তবে বেশিরভাগই আক্রান্ত হয়েছে গ্রাম থেকে । সব থেকে আক্রান্তের হার বেশি সেপ্টেম্বর ও নভেম্বর মাসে।