বিএনপি এ আন্দোলনে জয়ী হবেই: নোমান

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, আজকে ক্ষমতাসীন সরকারের ব্যর্থতার কারণেই মানুষ জেগে ওঠেছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। দেশে চরম সংকট দেখা দিয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ হবে। সেখানে সরকারের পরিবর্তন ঘটবে সেটা আমরা বলতে পারি না; কিন্তু দেশের মানুষ সরকারের পরিবর্তন ঘটাবে। তাদের প্রত্যাশা বিএনপির প্রতি বেশি। সেজন্যই বলছি সরকারের পতন বেশি দূরে নয়। বিএনপি এ আন্দোলনে জয়ী হবেই।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

‘প্রাণী খাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি: বিপর্যস্ত পোলট্রি ও ডেইরি খামার’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এ্যাবের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা।

সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে পণ্যের দাম বেশি। বিএনপির আমলে ডিমের হালি ছিল ১১ টাকা। অথচ এখন একটি ডিম ১১ টাকার বেশি। মুরগিতে লাভ হচ্ছে না। কারণ গবেষণা নেই, বাজেট স্বল্পতা। অনেক সময় বাজেটে এ মন্ত্রণালয়ের নামও বলা হয় না। বলে যে কৃষি উপকরণ।

তিনি বলেন, আমরা ইলিশ সংরক্ষণ তথা মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ দিয়েছিলাম। আমাদের আরও বেশি গবেষণা করতে হবে। উৎপাদন ও সরবরাহ সমন্বয় করতে হবে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, সরকার যাবে, আসবে কিন্তু দেশের উন্নয়নের জন্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। রপ্তানিমুখী উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। তা না হলে সংকটের সমাধান হবে না। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার শাসনামলে গবেষণা কেন্দ্রগুলোকে সংস্কার ও আধুনিক করা হয়েছে। ধান চাল উৎপাদনের লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎ প্রকল্প করেছেন। যে কারণে উত্তরবঙ্গের ৯০ শতাংশ এলাকায় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি ট্যাক্স মওকুফ করেছিলেন। কৃষির সেচের জন্য খাল খনন করেছিলেন। ফলে খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির সময় খাদ্য উদ্বৃত্ত ছিলো। সেগুলো জনসংখ্যার অনুপাতে বেশি ছিল। ফিশারিজ ও পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল; কিন্তু আওয়ামী লীগ যা বলে তা সঠিক নয়।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আহসানুল হক।

আয়োজক সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ সানোয়ার আলমের পরিচালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার,

সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, এ্যাব‘র কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন, সদস্য সচিব ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষিবিদ বিএম আলমগীর কবির, কৃষিবিদ ইয়ার মাহমুদ, শাহাদাত হোসেন পারভেজ, আবদুর রহমান নূরী, মোজাম্মেল হক সোহেল, আবু হেনা মোস্তফা কামাল পান্না, ড. আকিকুল ইসলাম আকিক, একেএম আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক আসাবুল হক আশা, শেখ মো. শফি শাওন প্রমুখ।