যশোর শহরের বাবু বাজারের সামনে অবাধে বিষাক্ত চোলাইমদ বেচাকেনার

যশোর শহরের একেবারে বড় বাজারের মধ্যে অবাধে বিষাক্ত চোলাই মদ বেচাকেনা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চোলাইমদ বেচাকেনা হলেও সদর পুলিশ ফাঁড়ীসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও সদস্যরা জেগে ঘুমাচ্ছে বলে এমন কথা বলেছেন বাজারের বিভিন্ন শ্রেনীর ব্যবসায়ীরা। অবিলম্বে তারা চোলাইমদ বেচাকেনা বন্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

যশোর শহরের বড় বাজার এলাকা ঘুরে প্রত্যক্ষদর্শী বিভিন্ন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, বাবু বাজার পতিতালয়ের সামনে মোহনগঞ্জ তাঁড়ী খানার গলির মুখে ছোট মহসিন ও রাসেল এবং বাবু বাজার পতিতালয়ের মধ্যে যৌনকর্মী সুমির কথিত স্বামী আনারুল অবাধে চোলাইমদ বেচাকেনা করছে। এরা প্রতিদিন সকাল থেকে রাত সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত আনারুল যৌনকর্মীর শেল্টারে থেকে বিষাক্ত চোলাইমদ বেচাকেনা করছে। আনারুল ইসলামের কথিত স্ত্রী যৌনকর্মী বাবু বাজার পতিতালয়ের ভিতরে একটি কক্ষ মদ বেচাকেনার জন্য ভাড়া নিয়েছেন। তিনি সেখানে কথিত স্বামী আনারুলের মাধ্যমে গ্যালন গ্যালন চোলাইমদ বেচাকেনা করছে। অথচ যশোর সদর পুলিশ ফাঁড়ীতে কর্মরত কর্মকর্তা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের কর্মরত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে চোলাই মদ কেনাবেচা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ছোট মহসীন ও রাসেল বাবু বাজার পতিতালয়ের বিপরীত পাশে মোহনগঞ্জ তাঁড়ীখানার সামনে শাহীনের পুরির ও সেলিমের চায়ের দোকানে অবস্থান নিয়ে অবাধে বিষাক্ত চোলাইমদ বেচাকেনা করছে। এসব চোলাইমদ বেচাকেনার জন্য ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন। যেখানে গত কয়েক বছরে যশোর শহরের বাবু বাজার ও মাড়োয়াড়ী মন্দির সংলগ্ন পতিতালয়ের সামনে আবু হাসানসহ একটি চোলাইমদ বেচাচেনার সিন্ডিকেটের কাছ থেকে চোলাইমদ সেবন করে যশোরের বিভিন্ন পেশার ১৫ জন ব্যক্তি অকালে প্রাণ হারায়। যে ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় পুলিশ বাদি হয়ে ৬টির অধিক মামলায় দায়ের করেন। যে ঘটনায় সেসময় আবু হাসানসহ ১৫ জনকে পুলিশ পর্যায়ক্রমে আটক পূর্বক আদালতে সোপর্দ করে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন আদালতে জবানবন্দি মূলক স্বীকারোক্তি দেন। এরপর থেকে মাড়োয়াড়ী মন্দির সংলগ্ন পতিতালয়ে ও বাবু বাজার পতিতালয়ের সামনে জামালসহ একটি মদ বেচাকেনার সিন্ডিকেট আইনের আওতায় এসে জেল পর্যন্ত খাটে। সেই থেকে চোলাইমদ ওই এলাকায় বেচাকেনা বন্ধ হয়ে যায়। তারপরও চোলাইমদ বেচাকেনা শুরু হয় যশোর শহরের পুরাতন পৌরসভার সামনে হরিজন পল্লীতে। হরিজন পল্লীতে বিক্রিত চোলাইমদ সেবন করে মৃত্যুর খবর আসলেও অজ্ঞাত কারনে হরিজন পল্লীতে চোলাইমদ বেচাকেনা বন্ধ হয়নি আজও। অবাধে চোলাইমদ বেচাকেনার ব্যাপারে স্থানীয় সাংবাদিকরা সদর পুলিশ ফাঁড়ীসহ থানা এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় ক সার্কেলের কর্মকর্তা ও সদস্যদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন বিষয়টি দেখবেন। এভাবে দিনেরপর মাস ও বছর পার হলেও বিষাক্ত চোলাইমদ বেচাকেনা বন্ধ হচ্ছেনা। এ ব্যাপারে যশোরের বিভিন্ন পেশার ব্যবসায়ীরা অবিলম্বে চোলাইমদ বেচাকেনা বন্ধের জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।