খুলনার আ.লীগ নেতা অজয় সরকারকে বহিষ্কার

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অজয় সরকারকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া তাকে কেনো স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না- মর্মে সাত দিনের সময় দিয়ে কারণ দর্শনোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এছাড়াও সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুর রহমান রিপন ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা হালিমা ইসলামকে জেলা পরিষদ নির্বাচন বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ডাক্তার শেখ বাহারুল আলমকে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিকে বলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তাছাড়া কয়রা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিরিঞ্চি রায়ের জমি দখলের অভিযোগ, লতা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহরাব হোসেনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করার ঘটনার অভিযোগ, রুপসা উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলন বাঁধাগ্রস্ত করার বিষয়ে অভিযোগ এবং ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা সরোয়ারের আবেদনের প্রেক্ষিতে পৃথক পৃথক তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

সভায় ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে খুলনা জেলার কাউন্সিলর ও ডেলিগেট তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়।

 

সভায় সভাপতির বক্তব্যে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশিদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে পুনঃরায় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকল কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, যতদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ ও সংগঠন থাকবে, ততদিন দেশ ও সংগঠন সমৃদ্ধির দিকে এগোবে।

সভাটি পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী।