যশোরে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে চার্জশিট

যশোরে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত স্বামী জাকির হোসেন বেনাপোলের পুটখালী পশ্চিমপাড়ার মৃত ইমাম আলীর ছেলে। ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে স্ত্রী রহিমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলা সূত্র জানাযায়, মণিরামপুরের খাটুরা পশ্চিমপাড়ার ইনছান আলীর সাথে ২৭/২৮ বছর আগে তালাক হয়ে যায় রহিমার। এরপর থেকে জাকিরের সাথে বিয়ে হয় রহিমার। তারা যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। এরমাঝে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে নিজ ঘরের খাটের ওপর লেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় রহিমার লাশ উদ্ধার করা হয়।

মামলার তদন্তে উঠে আসে, জাকির পূর্বের স্ত্রী রেখে রহিমার সাথে প্রেম করে ৪/৫ বছর আগে বিয়ে করেন। জাকির ভ্যানে করে মাছ তরকারী বিক্রি করতেন। শারীরিকভাবে তিনি দূর্বল ছিলেন। অন্যদিকে, রহিমা বিভিন্ন বাড়িতে যেয়ে আরবি পড়াতেন। অনেক সময় রাত করেও বাড়িতে ফিরতেন। একারণে তার ধারনা ছিলো রহিমার শারীরিক চাহিদা মেটাতে তিনি ব্যর্থ হচ্ছেন ফলে সে রাত করে অন্য কোনো পুরুষের সাথে সময় কাটাচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলতে থাকে। এরমধ্যে রহিমার চাচাতো ভাইয়ের সাথে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় জাকিরের।

১২ ডিসেম্বর রাতে দুজনেই খাওয়া দাওয়া শেষে শুয়ে পরে। গভীর রাতে ওই খালাতো ভাই কল করে রহিমাকে। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব হয় তাদের। এরপর রহিমা খাট থেকে নিচে যেয়ে ঘুমিয়ে পরে। পরে ওই রাতেই রহিমার গলার ওড়না দিয়ে পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সকালে পালিয়ে যায় জাকির। তিনদিনপর এলাকায় দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পরলে ঘরের তালা ভেঙ্গে রহিমার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন নিহতের পূর্বের ঘরের ছেলে হাসানুজ্জামান টুটুল। চলতি বছরের ২২ মে কোটচাদপুর থেকে জাকিরকে আটক করে। হত্যার ঘটনা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয় জাকির হোসেন। জবানবন্দিতে এসব তথ্য জানান জাকির। মামলার তদন্ত শেষে কোতোয়ালি থানার এসআই তাপস মন্ডল আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন।