বেনাপোল এপিবিএন পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ দুনীতির নানা অভিযোগ

বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাচেঞ্জার টার্মিলালে এপিবিএন পুলিশের যাত্রীদের হয়রানি, স্বজনপ্রিতী ও ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। যাত্রী টার্মিনালে কর্তব্যরত এ এস আই সায়েদ (এপিবিএন) এক শ্রেনীর লোকের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে অর্থের বিনিময় পিছে যাত্রী সুযোগ বুঝে আগে টার্মিনালের মধ্যে প্রবেশ করাচ্ছে এমনটি অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭ টার সময় প্যাচেঞ্জার টর্মিনালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে মুল লাইনে পাসপোর্টযাত্রীদের প্রবেশ না করিয়ে কিছু যাত্রীদের লাইনে সুযোগ বুঝে প্রবেশ করাচ্ছে সায়েদ পুলিশ। তখন সাধারন যাত্রীরা চেঁচামেচি করলে এবং যাত্রিদের এগিয়ে দিতে আসা লোকদের সাথে বাকবিতন্ডা হয় ওই পুলিশের। দুই জন যাত্রীকে ঢুকানোর সময় ফিরিয়ে আসতে বললে তারা থমকে দাঁড়ায়। সাথে সাথে ওই পুলিশ হতবিহ্বল হয়ে বলে ওরা ক্যান্সার যাত্রীদের আত্নীয়। কোথায় ক্যান্সার যাত্রী জানতে চাইলে যাত্রীরা বলে আমাদের সাথে অন্য কেউ নেই। কোন ক্যান্সার যাত্রী ও নেই। তারা বলে আমরা ফিরব কেন আগে প্রবেশ এর জন্য ওই পুলিশের লোককে দুই জন ৩শ’ করে ৬ শত টাকা দিয়েছেন। আমরা ফিরব না। এভাবে দেখা যায় যেখান দিয়ে ক্যান্সার যাত্রী প্রবেশ করার কথা সেখানে সুযোগ বুঝে ওই পুলিশ কর্মকর্তা একথা বলেন। যাত্রীদের পাসপোর্ট ও নাম ঠিকানা জানতে চাইলে সায়েদ পুলিশ তাদের দ্রুত সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে বন্দরের রুমের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দেয়।

 

ঢাকার যাত্রী মেহেদী হাসান মুকুল বলেন, আমরা দুর থেকে আসছি। লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। দীর্ঘ সময় ধরে দেখছি ওই পুলিশ অনেক লোক লাইন ভঙ্গ করে স্থল বন্দরের মধ্যে লোক প্রবেশ করাচ্ছে।

 

এদিকে এপিবিএন পুলিশের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের র‌্যাঞ্জে কমপ্লেন করেন দেখেন সব ঠিক হয়ে যাবে।

 

সাবেক সেনা বাহিনীর সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, এপিবিএন এর ওই পুলিশ সদস্যর আচারন অত্যান্ত খারাপ। সে যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করছে। আমি অনেক সময় এখানে দাঁড়িয়ে দেখছি উনি যাত্রীদের ইশরা ইঙ্গিতের মাধ্যেমে ইমিগ্রেশনে প্রবেশ এর জন্য স্থল বন্দরের টার্মিনালে প্রবেশ করাচ্ছে। ওই সকল যাত্রী অনেক পিছনে ছিল। এ ভাবে লেঅক কেন প্রবেশ করাচ্ছে তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।

এপিবিএন পুলিশ সদস্য সায়েদ এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বলেন এসব ক্যান্সার যাত্রী। এখানে ১৫ থেকে বিভিন্ন বয়সের প্রায় ৫০ জনের মত যাত্রীকে প্রবেশ করতে দেখা গেছে মাত্র ১০ মিনিট সময়ের মধ্যে। এতগুলো যাত্রী কি ভাবে ক্যান্সর রুগী হয় তখন তিনি কথা না বলে চলে যান।

 

এ পিবিএন পুলিশের খুলনা রেঞ্জে এএসপিকে বিষয়টি জানানোর জন্য হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।