গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে জামানত হারালেন তিন প্রার্থী

EC

গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেওয়া তিন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। কাস্টিং ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট কম পাওয়ায় তারা জামানত হারিয়েছেন বলে জানা গেছে।

জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাত (আপেল)। এর মধ্যে ২৫ ডিসেম্বর বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান নাহিদুজ্জামান নিশাত।

এই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহামুদ হাসান রিপন (নৌকা) ৭৮ হাজার ২৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পাটির প্রার্থী এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু ৪৪ হাজার ৯৫০ ভোট পেয়েছেন। বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম পান ১ হাজার ৭৯৬ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মো. মাহবুবুর রহমান পেয়েছেন ২ হাজার ৯৫০ ভোট ও নাহিদুজ্জামান নিশাদ পেয়েছেন ১ হাজার ৬৪০ ভোট।

বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিনে (ইভিএমএ) ভোটগ্রহণ চলে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। এই আসনের সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রের ৯৫২টি বুথে ১ লাখ ২৯ হাজার ৬১২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

গাইবান্ধা-৫ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার ২ লাখ ২৫ হাজার ৭০ জন এবং ফুলছড়ি উপজেলার ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ জন ভোটার।

বুধবার রাত সাড়ে ৩ টায় জেলা নির্বাচন অফিস হলরুমে এ ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম।

গত ১২ই অক্টোবর বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। গত বছরের ২৩ জুলাই জাতীয় সংসদের প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।