ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকার আন্তরিক : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘সাধারণত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে যায়। তবে, অন্য বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতির ভিন্নতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পরিবর্তিত এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে৷’

তাজুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নে বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘২০১৯ সাল থেকে আমরা ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। ২০২০ সালে এসে সেই সফলতা দেখাতে সক্ষম হয়েছি। তবে, ২০২২ সালে এসে আবার পরিস্থিতির ভিন্নতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা দুশ্চিন্তার বিষয়।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার মাধ্যমে এডিস মশা বন্ধ্যত্বকরণ করেছে। ইন্দোনেশিয়া এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশ এই প্রযুক্তি ব্যবহারে কাজ করছে৷ কীটতত্ত্ববিদ ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে নতুন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়ররা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডগুলোকে ১০টি অঞ্চলে ভাগ করে নিবিড়ভাবে মশা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ, জনবল, অভিযান পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটসহ প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সরবরাহ করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করার জন্য যা যা করণীয় সব করা হয়েছে।’

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে, এডিস মশাসহ ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের ধরন পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কীটনাশকও পরিবর্তন হচ্ছে। এজন্য এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর কীটনাশক আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এখন যে কেউ অনুমোদিত কীটনাশক আমদানি করতে পারবেন। ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতা ও জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন। সকল স্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। দায়িত্বশীল সবার যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইবরাহীম, চারজন কীটতত্ত্ববীদসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।