পাবনার ঈশ্বরদীতে গুলি করে রিকশাচালক মামুনকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নিহত মামুনের মা লিপি আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার।
জানা যায়, মামলায় ঈশ্বরদী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি কামাল হোসেন ও তার ভাই আনোয়ার হোসেনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ৩ থেকে ৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
গত বুধবার রাত আটটার দিকে উপজেলার পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় একটি ভটভটি ও লেগুনা গাড়ির মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় লেগুনা চালক জরিমানা দাবি করেন ভুটভুটি চালকের কাছে। এ নিয়ে দুই গাড়ির চালক ও যাত্রীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের শান্ত করে পাঠিয়ে দেয় এবং তাদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে নিষেধ করেন।
আরও পড়ুন: দোকানিদের ওপর চড়াও যুবলীগ নেতা, গুলিতে নিহত রিকশাচালক
এর কিছুক্ষণ পর ১নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা কামাল হোসেনের ভাই আনোয়ার হোসেন তার সহযোগীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং ভুটভুটি চালকের কাছ থেকে জরিমানা নিতে কেন বাধা দেওয়া হলো এমন প্রশ্ন তুলে স্থানীয়দের ওপর চড়াও হন। পরে তাদের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেন তার কোমরে থাকা পিস্তল বের করে মামুন ও রকিকে গুলি করে। আর তার সঙ্গীরা সুমনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।