যুক্তরাষ্ট্র আমাদের কোনো দুর্বলতা জানালে ঠিক করে নেব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি কোথাও আমাদের দুর্বলতার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, আমরা তা সংশোধন করে নিব। তবে আমাদের বিরুদ্ধে কিছু আইনি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন ধরনের বানোয়াট তথ্য দেয়। ফলে কোনো ব্যক্তিবিশেষ প্রভাবিত হলেও সরকার (যুক্তরাষ্ট্র) প্রভাবিত বলে মনে হয় না। আমরা মোটামুটি ভাল অবস্থানে আছি। আমরা খুবই গঠনমূলক, ইতিবাচক।’

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা অন্য কোনো দেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা রয়েছে কিনা, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আজ সোমবার তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, আমরা এ ধরনের কিছু বিশ্বাস করি না।

আগামী ১৪ জানুয়ারি মার্কিন প্রশাসনের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। এ নিয়েও কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চাই। না করার কোনো কারণ নেই, কারণ যুক্তরাষ্ট্র যে ধরণের মূল্যবোধে বিশ্বাস করে আমরা একই জিনিস বিশ্বাস করি। তারা গণতন্ত্র, মানবাধিকারে বিশ্বাস করে, আমরাও গণতন্ত্র ও মানবাধিকারে বিশ্বাস করি। তবে আমাদের কোথাও গ্যাপ থাকতে পারে, সেটা যদি তারা বন্ধু মনে করে আমাদের বলে সেটা আমাদের জন্য লাভ, আমরা সংশোধন করে নেব। এমনটি আমরা করেছিও।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে একটি বক্তব্য দিয়েছিল, আমরা দেখেছি কিছু দুর্বলতা আছে। আমরা সেটি আমলে নিয়েছি।’

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে আসছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘না, এটি বরং খুবই সুখের বিষয়, আমরা খুবই খুশি যে তারা আসছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট গত ৫০ বছরে আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা বলেছেন। আগামী ৫০ বছরে আমরা আরও উন্নত অবস্থায় যেতে চাই, অতএব আমাদের জন্য এটি খুবই সুখের বিষয়।’

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গত ১৪ ডিসেম্বর শাহীনবাগে প্রায় এক দশক ধরে নিখোঁজ বিএনপির নেতা সাজেদুল ইসলামের বাসায় যান। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় বাসার বাইরে একদল লোক তাঁকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন। তিনি নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় সেখান থেকে বেরিয়ে যান।

এরপর যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানকে পিটার হাসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানান মার্কিন প্রশাসনের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।