বিদেশে চুক্তিভিত্তিক ১৪ কূটনীতিক কর্মরত, সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে ১৪ জন কূটনীতিক চুক্তিভিত্তিক কর্মরত আছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি জানান, এর মধ্যে ১০ জন রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার, ২ জন মিনিস্টার, ১ জন কাউন্সিলর এবং ১ জন তৃতীয় সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।

১০ জন রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার হলেন- মরক্কোর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, রাশিয়ার কামরুল আহসান, কানাডার হাইকমিশনার ড. মো. খলিলুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্রের মোহাম্মদ ইমরান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের এম আবু জাফর, জাপানের শাহবুদ্দিন আহমেদ, জার্মানির মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, ইরাকের মো. ফজলুল বারী, সৌদি আরবের ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এবং ভুটানের রাষ্ট্রদূত শিব নাথ রায় চুক্তি ভিত্তিক দায়িত্বে আছেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনিস্টার ও উপ-কনসাল জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম, যুক্তরাজ্যের মিনিস্টার সাব্বির বিন শামস, কানাডার কাউন্সিলর অপর্ণা রাণী পাল এবং যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় সচিব আসিব উদ্দীন আহমেদ চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ আছেন।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ৮১টি মিশনের মধ্যে বর্তমানে ১৭টি মিশনে বাংলাদেশের মালিকানাধীন নিজস্ব চ্যান্সারি ভবন এবং ১৪টি মিশনে নিজস্ব মালিকানাধীন রাষ্ট্রদূতের বাসভবন রয়েছে। এছাড়া ৫টি মিশনে বাংলাদেশের মালিকানাধীন জমি রয়েছে। বর্তমানে ৭টি মিশনে বাংলাদেশের মালিকানাধীন নিজস্ব জমিতে ও রাষ্ট্রদূতের বাসভবন নির্মাণে প্রকল্প চলমান রয়েছে। দেশগুলো নিউইয়র্ক কনস্যুলেট জেনারেল (যুক্তরাষ্ট্র), কেনিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রাজিল, ব্যাংকক, প্যারিস এবং গ্রিস।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে এ কে আবদুল মোমেন জানান, বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশে বাংলাদেশের ৮১টি কূটনৈতিক মিশন চালু রয়েছে। এর মধ্যে ৪টি দেশে সশস্ত্র বাহিনী হতে প্রেষণে রাষ্ট্রদূত নিয়োজিত আছেন।

তারা হলেন লেবাননের মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান, কুয়েতে মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামান, মালদ্বীপের রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ এবং ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কূটনীতিক তৎপরতায় বাহরাইন ও মালদ্বীপের ৫১ হাজার প্রবাসী শ্রমিক বৈধ হয়েছে।

তিনি বলেন, বাহরাইনে অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশি কর্মীদের বৈধ করার জন্য কূটনীতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৫ হাজার কর্মী বৈধ হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। করোনাকালীন সময়ে ৫ হাজার বাংলাদেশী কর্মী স্থায়ীভাবে দেশে ফেরত আসে। সাধারণ ক্ষমার পূর্বে বাহরাইনে অবৈধ সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার।

মন্ত্রী বলেন, মালদ্বীপ সরকার অনিয়মিত শ্রমিকদের নিয়মিতকরণের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করেছে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৬ হাজার বাংলাদেশী শ্রমিক নিয়মিত হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করেছেন।