যশোরে হত্যা মারপিট ও জখমের অভিযোগে মামলা

হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে জখম, শ্লীলতাহানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। শহরের খড়কি বামন পাড়ার মৃত জমির উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে সোলাইমান বিশ্বাস (৫৬) মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।

মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হচ্ছে শহরের খড়কির নজরুল ইসলামের ছেলে মোস্তাক (৩০), একই এলাকার মৃত আমির আলীর ছেলে কালু (৩৫) হিল্লোল (৩০) চায়ের দোকানী আব্দুল মাজেদ (২৫) সিরাজুল ইসলাম (২৬) আঃ মাজেদের ছেলে সাকলাইন (২৬) কুদ্দুসের ছেলে টিটু (২৪) হাবিব ওরফে হাবির ছেলে মিন্টু (২৬) ও নুরইসলাম ড্রাইভারের ছেলে শাহ আলম (২৭)।

মামলায় সোলাইমান বিশ্বাস বলেন, আসামিরা এলাকায় সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড করে বেড়ায়। আমার মেয়ে শাহিনা আক্তার (২৫) পৌরসভার ৫ নং ওয়াডের সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের সভাপতি ও যুবমহিলা লীগের দপ্তর সম্পাদক। ৫ নং ওয়ার্ডের ওএমএসের ডিলার রোকন ব্যাপারির দোকান থেকে সাধারণ জনগনের মাঝে প্রতিদিন ৫ কেজি আটাক ১২০ টাকা ও ৫ কেজি চাল ১৫০ টাকা মূল্যে বিতরণ করা হয়। আসামি মোস্তাক বাহিনী দলবল নিয়ে প্রতিদিন ডিলারের কাছ থেকে জোর পূর্বক চাল আটা নিয়ে যায়।

প্রতিদিনের মতো ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে খড়কি কবরস্থান মসজিদের সামনে ডিলারের দোকান থেকে নিয়মবর্হিভূত ভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় চাল আটা নিয়ে যায়। এসময় আমার মেয়ে বাধা দিলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী মোস্তাকের নেতৃত্বে কালূ হিল্লোল ও আঃ মজিদ ইট বাঁশের লাঠি দিয়ে মারপিট করে রক্তাত্ত জখম করে। আমার মেয়ে মাটিতে পড়ে গেলে আসামি সিরাজুল ইসলাম, সাকলাইন, টিটু, মিন্টু ও শাহআলম খুন করার উদ্দেশ্যে আমার মেয়ের বুকে পিঠে পাড়িয়ে দাবিয়ে গুরুত্বর জখম করে।

আসামি মোস্তাক ও কালু মেয়ের পরনের কাপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। তখন আমার মেয়ের চিৎকারে স্থানীয়রা সাহায্যের জন্য এগিয়ে গেলে আসামিরা মেয়েকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।