যশোরে স্বপ্নচারী আইডিয়াল স্কুল শিশু শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জনে কাজ করেছে

যে শিক্ষা মানুষের কল্যাণে আসে না সেই শিক্ষা মূল্যহীন। একজন শিক্ষিত যুবক কখনও বেকার থাকে না। শিক্ষার আলো সব সময় জ¦লে থাকে। এমন স্বপ্ন নিয়ে হাটিহাটি পা করে আজ একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রুপ নিয়েছেন যশোর শহরতলী উপশহর এলাকায় গড়ে উঠা স্বপ্নচারী আইডিয়াল স্কুল। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর শনিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম ও নবীণ বরণ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উদ্বোধন করা হয়েছে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বপ্নচারী আইডিয়াল স্কুলের প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা রাজউকের এক্সিকিউটিভ ও উপ সচিব কামরুল ইসলাম রনি। এছাড়া, অনুষ্ঠানে শিক্ষানুরাগী,প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক মন্ডলী ও কোমলমতি শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের কৃতি সন্তান ইমরান হোসেন যশোর সরকারি এমএম কলেজ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে ব্যাচেলর অব এডুকেশন ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড এই শ্লোগানকে বাস্তবায়নের রুপ দিতে ২০১২ সাল থেকে শিক্ষিত যুবক ইমরান হোসেন শিক্ষার কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় ২০১৮ সালে তিনি উপশহর এলাকায় গড়ে তোলেন স্বপ্নচারী একাডেমিক কেয়ার নামে একটি কোচিং সেন্টার।

এই সেন্টারের মাধ্যমে তিনি শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষিত ৬ যুবককে প্রাথমিক কর্মস্থানের সুযোগ করে দেন। স্বপ্নচারী আইডিয়াল স্কুল প্রতিষ্ঠার তার মূল উদ্দেশ্য সমাজের পিছিয়ে পড়া,গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষার আলো ফুটানো। যার কারণে তিনি বিগত ২০২০-২১ সালে করোনা মহামারীর সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সকল শিক্ষার্থীদের দ্বারে দ্বারে শিক্ষার আলো পৌছে দিয়েছেন। কখনও অনলাইন আবার কখনও অফলাইনসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে। শিক্ষাকে সমাজের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সকল শিক্ষার্থীদের দ্বারে দ্বারে শিক্ষার আলো পৌছে দিয়েছেন। কখনও অনলাইন আবার কখনও অফলাইনসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে। শিক্ষাকে সমাজের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সাফল্যের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। যশোর শহরতলী উপশহরের অভিভাবকদের আস্থার এক অন্যান্য নাম ইমরান স্যার। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে স্বপ্নচারী আইডিয়াল স্কুল প্রতিষ্ঠা করে তিনি থেমে নেই। কিভাবে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রকৃত শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা যায় তার জন্য স্বপ্নচারী আইডিয়াল স্কুলে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত নারী পুরুষসহ ২১জন ও ৩ জন অফিস সহকারীসহ মোট ২৪ জন শিক্ষিত বেকারের কর্মসংস্থনের ব্যবস্থা হয়েছে।

বর্তমানে স্বপ্নচারী আইডিয়াল স্কুলে ১০০ শিক্ষার্থী ও স্বপ্নচারী একাডেমিক কেয়ারে ১৬০জন শিক্ষার্থী সরকারি স্কুলের সময়ের (ছুটির) পর পড়াশুনা করছেন। স্বপ্ন থেকে বাস্তবায়ন রুপ নেয়া স্বপ্নচারী আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইমরান হোসেনের সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের উৎসাহ ও রিফ্রেশের জন্য সকর পরীক্ষায় পুরস্কার প্রদান,ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা,বার্ষিক বনভোজনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন দিক নির্দেশনার প্রোগ্রাম রাখা হয়েছে।

তাছাড়া,এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সার্বক্ষনিক সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আসার জন্য নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থা করা হয়েছে। একজন শিক্ষার্থী এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহনের পাশাপাশি বিনোদন করবে তার জন্য ক্রীড়া উপকরণ সাজানো হয়েছে যাতে তারা কোন অভাব বোধ না করে।

প্রধান শিক্ষক ইমরান হোসেন জানান, স্বপ্নচারী আইডিয়াল স্কুল সরকারি সহযোগিতা পেলে অত্যাধুনিক শিক্ষা উপকরণ ও প্রযুক্তির সাহায্যে শিক্ষার্থীদের আরো মানসম্মত শিক্ষাদান করা সম্ভব হবে। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্বপ্নচারী প্রতিষ্ঠান অগ্রনি ভূমিকা রাখবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস করেন। তিনি আরো বলেন, যে সকল বেকার ছেলে মেয়ে আছেন তারা যেন কোন কাজকে ছোট না ভাবে,সকলকে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য বিনীত আহবান জানান। এ ক্ষেত্রে সমাজের মানুষকে সার্বিক সহযোগিতা একান্ত কাম্য তার। তিনি মনে করেন, উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য একজন ব্যক্তির ৪টি মূলধন প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। তার মতে চেষ্টা,পরিশ্রম,ধৈর্য ও উত্তম ব্যবহার যথেষ্ট। এই চারটি গুন যার মধ্যে আছে যে কখনও পিছিয়ে পড়বেনা। সবশেষ তিনি বলেন যে,বঙ্গবন্ধুর আদর্শ রাষ্ট্র গঠন ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে স্বপ্নচারী একাডেমিক কেয়ার ও স্বপ্নচারী আইডিয়াল স্কুল বিশেষ ভূমিকা রাখবেন। এ ব্যাপারে স্বপ্নচারী আইডিয়াল স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে আলাপ করে জানাগেছে, এখানে যত্ম সহকারে যেভাবে শিশু শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া হয় তাতে তারা খুশি প্রকাশ করেন।