যশোরে শুরু হয়েছে ৬দিন ব্যাপী ৫১তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। বৃহস্পতিবার ২ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১টায় যশোর শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তেই নতুন শিক্ষাক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন সংকটের মধ্যেও এই কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে। ভুলগুলো সংশোধনে কাজ হচ্ছে। তবে কথিত মিথ্যাচার ও গুজবে কান দেবেন না। সত্যতা যাচাই করুন, অপশক্তিকে প্রতিহত করুন।
তিনি আরো বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা দক্ষতা অর্জন করবে, মূল্যবোধ গড়ে উঠবে, মানবিক ও সৃজনশীল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, যশোর-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, শিক্ষা সচিব সোলেমান খানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
৬ দিনব্যাপী প্রতিযোগিতায় ৮টি ইভেন্টে ৮২৪ জন ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে ছাত্র ৪৪০জন ও ছাত্রী ৩৮৪ জন। অ্যাথলেটিক্স, ছাত্র ও ছাত্রীদের ভলিবল, বাস্কেটবল, হকি, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস ও সাইক্লিং ইভেন্ট রয়েছে। অ্যাথলেটিক্সে সবচেয়ে বেশি ৩৪৪ জন অংশ গ্রহণ করবে।
বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে ও যশোর শিক্ষা বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে যশোরের ৬টি মাঠ। ময়মনসিংহ ও ঢাকা অঞ্চলকে নিয়ে গঠিত পদ্ম। রাজশাহী ও দিনাজপুর অঞ্চলকে নিয়ে গঠিত চাঁপা। সিলেট, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা এই অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছে বকুল। বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের নিয়ে গঠিত গোলাপ। এই চারটি অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগিদের নিয়ে হচ্ছে এ প্রতিযোগিতা।
জাতীয় পর্যায়ে প্রথম হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ, দ্বিতীয় হওয়া প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার ও তৃতীয় প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার প্রদান করা হবে। এছাড়া বিজয়ী প্রতিযোগিদের ট্রফি, মেডেল, প্রাইজবন্ড ও সনদপত্র প্রদান করা হবে ।